ক্রমেই বাড়ছে ¯ত্মন ক্যান্সারে আক্রাšত্ম রোগীর সংখ্যা
বাংলাদেশের ইন্সটিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ এর এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে দেশটির যত নারী ক্যান্সারে আক্রাšত্ম তাদের অধিকাংশ নারীই ¯ত্মন ক্যান্সারে ভুগছে। সেইসাথে দেশটিতে ক্যান্সারের প্রবণতাও বেড়েছে বলে এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বি¯ত্মারিত কথা বলা হয়েছিল বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ এর সহযোগি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুল্লা তালুকদার এর সাথে।
অধিকাংশ নারীই ¯ত্মন ক্যান্সারে ভুগছে এর কারণ কি এমন এ প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল্লা তালুকদার বলেন, আসলে আমরা এ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটে হাসপাতাল ভিত্তিক একটা ক্যান্সার রেজিস্ট্রি বা নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু করেছি ২০০৫ সাল থেকে। সেখানে আমরা সব ক্যান্সারের রুগিদের তথ্যগুলি সংগ্রহ করি একটা ছক মত। সেখানে আমরা দেখেছি যে ২০০৫ সালেও মহিলাদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগের একটু বেশি ছিল জরায়ু মুখের ক্যান্সার তারপরে ছিল ¯ত্মন ক্যান্সারের অবস্থা। এরপরে ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যšত্ম সর্বশেষ যে রিপোর্টটি আমরা বের করলাম সেখানে দেখা যায় যে ক্রমান্নয়ে ¯ত্মন ক্যান্সারের রুগির সংখ্যা বাড়ছে। পুরো জাতির ওপরে এর প্রভাবটা আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছিনা কিন্তু আমরা এটি বলতে পারি যে যেহেতু জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটেই সবচাইতে বেশি রুগি আসে এখানকার এই তথ্যটাই অনেকটা রিপ্রেজেন্ট করে।
এই যে প্রবণতাটা বাড়ছে বললেন সেটা কতটা ভয়াভয় মনে হচ্ছে বা কতটা দ্রুত গতিতে বাড়ছে ?এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বেশ দ্রুতই বলা যায়। মহিলাদের মধ্যে যেখানে ২৫ ভাগের কাছাকাছি ছিল ¯ত্মন ক্যান্সার এবং জরায়ু মুখের ক্যান্সার। সর্বশেষ রিপোর্টে আমরা দেখছি যে শতকরা প্রায় ২৮ ভাগ হল ¯ত্মনের ক্যান্সার এবং জরায়ু মুখের ক্যান্সারটা ১৮ থেকে ১৯ ভাগের মধ্যে চলে আসছে। এখানে অবশ্যই পরিবর্তনটা লক্ষ্য করার মত।
তাদের সেরে উঠার সম্ভাবনা কতটুকু দেখছেন আপনি বা আপনারা এবং তাদের ভাল হবার জন্য কোন পরামর্শ কি আছে আপনাদের? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত আমি একটা কথা বলি ¯ত্মন ক্যান্সারের যে কারণ গুলো বা ঝুঁকিপূর্ণ যে উপাদান বা এক্সফেক্ট গুলো এর মধ্যে কিছু আছে এরমধ্যে পরিবর্তণ যোগ্য যেগুলো আমরা চাইলেই আমাদের জীবনাচরণের মধ্যে পরিবর্তন করতে পারি এবং এগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারি। এর মধ্যে প্রধানত আমরা যদি বলি যে খুব বেশি বয়সে মহিলাদের মধ্যে যে একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিয়ে হওয়ার পরে বিশেষ করে বিশ্বায়ন বা নগরায়নের ফলে কিছু কিছু ফ্যাক্টর কাজ করছে। যাদের সšত্মান হয়নি তাদের মধ্যে ¯ত্মন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিটা বেশি থাকে। আবার যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ায় না তাদের ক্ষেত্রেও এর ঝুঁকি বেশি থাকে। নানান কারণে হয়ত বুকের দুধ খাওয়ানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এরকম কিছু খাবার দাবারের ব্যাপারেও কিছু বিষয় থাকে যেমন যারা চর্বি যুক্ত খাবার বেশি খায় তাদের স্থুল হওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি থাকে এটাও ¯ত্মন ক্যান্সার হবার একটা কারণ। কিন্তু আমরা চাইলে আমাদের জীবনাচরণের মধ্যে পরিবর্তন এনে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এর বাইরে কিছু ফ্যাক্টর অবশ্য আছে যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর এগুলোকে চাইলেই আমরা সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আর একটা হল ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যবস্থা বিশেষ করে ¯ত্মন ক্যান্সারের চিকিৎসার তো খুব ভাল ব্যবস্থা আছে। যদি প্রথম অবস্থায় ধরা পরে এবং সময় মত ও নিয়ম মত চিকিৎসা হয় তাহলে অবশ্যই সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। এর জন্যে যেসব মহিলার বয়স ২০ বছরের বেশি তাদের প্রত্যেকের উচিৎ মাসে অšত্মত পক্ষে একবার নিজের ¯ত্মনটা নিজেরই পরীক্ষা করা। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে কিভাবে পরীক্ষা করতে হবে এগুলো সবাইকে জানানোর চেষ্টা করছি। মাসে যদি একবার তিনি ¯ত্মনটা পরীক্ষা করেন তাহলে সূক্ষ্ম কোন পরিবর্তন হলো কিনা তিনি বুঝতে পারবেন এবং যদি কোন পরিবর্তন তিনি লক্ষ্য করেন তাহলেই তিনি চিকিৎসকের কাছে যাবেন। আশেপাশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলে উনি বলে দিবেন কি করতে হবে। বিবিসি