কোভিড-১৯ এর কারণে লকডাউনে বিপাকে পড়া সমাজের দুঃস্থ, অসহায়, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের অন্যতম বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা “সওয়াব” (সোস্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার এন্ড এডভান্সমেন্ট ইন বাংলাদেশ)-এর মোহাম্মদপুর থানার আওতাধীন কোভিড-১৯ এর কারণে লকডাউনে বিপাকে পড়া সমাজের দুঃস্থ, অসহায়, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ৫০০ জন উপকারভোগীকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় মোহাম্মদপুরস্থ জাকির হোসেন মাঠে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ¦ মোঃ শফিকুল ইসলাম সেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক, মোহাম্মদপুর মডেল থানা, মোহাম্মদপুর, ঢাকা এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সওয়াবের চেয়ারম্যান মহোদয় এস এম রাশেদুজ্জামান, সওয়াবের হেড অব মনিটরিং এস এম ইমদাদুল ইসলাম, ইনচার্জ অব কোঅর্ডিনেশন মোঃ খোরশেদ আলম, হেড অব প্রোগ্রাম আবু সাইদ মোল্লা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ¦ মোঃ শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন যে, কোভিড-১৯ এর লকডাউনের কারণে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের মাঝে সওয়াবের এই কার্যক্রম আশার সঞ্চয় করেছে এবং এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান নিঃসন্ধেহে একটি মহতি উদ্যেগ। সওয়াবকে অনুসরণ করে সমাজের বৃত্তবানদেরকে এই রকম প্রোগ্রামের মাধ্যমে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের আহবান জানান এবং পাশাপাশি সওয়াবকে এই প্রোগ্রামের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব এস এম রাশেদুজ্জামান সাহেব বলেন যে, এই করোনা কালে আমাদের সবাইকে সচেতন ও সাবধান থাকতে হবে এবং ধৈর্যের সাথে এই করোনা মহামারীকে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আরো বলেন যে, মাস্ক ব্যবহার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার, এবং সামাজিক দুরত্বের নিয়ম মেনে চলতে হবে। তিনি একটি বিষয় জোর দিয়ে বলেন যে ”প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর” অর্থাৎ তিনি এই বিষয়ের মাধমে মানুষকে বোঝাতে চেয়েছেন যে, রোগ প্রতিকার করার থেকে প্রতিরোধ বেশি সহজ। গরিব অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা একটি পূর্ণের কাজ এবং সবাইকে এই কাজে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সমাজের সকল মানুষের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে পারস্পারিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা প্রদানের মাধ্যমে এই মহতি কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। সর্বোপরি উপকারভোগীদেরকে একটি দরদি সমাজ গঠনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। একটি দরদি সমাজ তখনই গঠিত হবে যখন কোন ব্যক্তির মধ্যে আতেœাপলব্ধি, আতœমর্যাদাবোধ, পরোপকারের মানসিকতা, সহনশীলতা এবং উদারতার মনোভাব থাকবে।