কোটাপদ্ধতি জাতিকে মেধাশূন্য করে দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে : খন্দকার মাহবুব

12/04/2018 11:24 amViews: 6

কোটাপদ্ধতি জাতিকে মেধাশূন্য করে দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে : খন্দকার মাহবুব

 


 

খন্দকার মাহবুব হোসেনখন্দকার মাহবুব হোসেন

 

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনবিদ খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বর্তমান কোটাপদ্ধতি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেধাশূন্য করে দেশটাকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এই অযৌক্তিক কোটাপদ্ধতির ফলে দেশের মেধাসম্পান্ন উচ্চশিক্ষিতরা তাদের মেধা অনুযায়ী কর্মসংস্থান না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এটা কোনো অবস্থায় একটি স্বাধীন জাতির পক্ষে শুভ হতে পারে না।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার দাবিতে শিার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে গতকাল নয়া দিগন্তকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অবিলম্বে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সুস্পষ্ট বক্তব্য রাখার আবেদন জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা হয়েছে তা জাতির জন্য কলঙ্কজনক। আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা করা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানান তিনি।

সরকার যদি তার একগুঁয়ে মনোভাব থেকে সরে না আসে, কোটা সংস্কার দাবি বাস্তবায়ন না করে তা হলে আইনজীবীসহ সব পেশাজীবী ছাত্রছাত্রীদের এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা সম্পার্কে তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে এত বেশি কোটা হতে পারে না। এটা জাতিকে মেধাশূন্য করার প্রচেষ্টা।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান কোটাপদ্ধতি আমাদের সংবিধানের পরিপন্থী। ঢালাওভাবে বিভিন্ন শ্রেণীকে যেভাবে কোটার আওতাভুক্ত করা হয়েছে তা আমাদের সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংবিধানে একমাত্র অনগ্রসর সমাজের জন্য কোটাপদ্ধতির একটি নির্দেশনা রয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকার ঢালাওভাবে বিভিন্ন শ্রেণীকে এই কোটাপদ্ধতির আওতায় এনে আমাদের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরকে হতাশ করে পঙ্গু সমাজ প্রতিষ্ঠা করছে।

কোটাপদ্ধতি সংস্কারের বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, কোটাপদ্ধতি থাকলেও তা একেবারে সহনীয় পর্যায়ে থাকতে পারে, যাতে কোনোভাবেই মেধাবীরা বঞ্চিত না হয়। যদি মেধাবীরা বঞ্চিত হয় তা হলে সরকারি প্রশাসন দক্ষভূমিকা গ্রহণে ব্যর্থ হবে।

তিনি আরো বলেন, কোটাপদ্ধতি সংস্কারের জন্য বঙ্গবন্ধুর সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বলে দাবিদার সরকার এটা অবহেলা করে সুপরিকল্পিতভাবে জাতির মেধাবী সন্তানদের বঞ্চিত করে চলেছে।

Leave a Reply