কে হবেন থাই প্রধানমন্ত্রী!
এ অবস্থায় বিরোধী দল বা জোট থেকে যিনিই প্রধানমন্ত্রী হোন না কেন, তাকে সবকিছু সামলে নিতে বেগ পেতে হবে। এরই মধ্যে সংস্কারপন্থি দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্ভাব্য জোট সরকারে যোগ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার ফেউ থাই পার্টি। মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত তার সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এ দলটিকে। তারা সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। দলটি জানিয়েছে, তারা পিটা নেতৃত্বাধীন সরকারে যোগ দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এর ফলে সম্ভাব্য নতুন পার্লামেন্টে শতকরা কমপক্ষে ৬০ ভাগ আসন থাকবে তাদের দখলে। এরই মধ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির নেতা ৪২ বছর বয়সী পিটা লিমজারোয়েনরাত। জানিয়েছেন, ৩০তম প্রধানমন্ত্রী হতে প্রস্তুত তিনি। তার ভাষায়, আমরা থাইল্যান্ডকে উন্নত করতে চাই। সম্ভাব্য সব পরিবর্তন করতে চাই। আরও জানিয়েছেন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তিনি দলীয় মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন। তার অবস্থান হবে স্বৈরশাসক ও সেনাসমর্থিত দলগুলোর বিরুদ্ধে। এতে এটাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়েছে যে, বর্তমান সরকারে সেনাসমর্থিত দুটি দল ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ওচা’কে জনগণ ভোটের বিচারে প্রত্যাখ্যান করেছে। ক্ষমতাসীন জোট নির্বাচনে শতকরা মাত্র ১৫ ভাগ আসন পেয়েছে। ফলে মুভ ফরোয়ার্ড দলের নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত বলেছেন, আমরা কোনো কিছুই অসম্পন্ন রাখবো না।
হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন পিটা। তিনি একজন দক্ষ পার্লামেন্টারিয়ান। কিন্তু একটি জোট টিকিয়ে রাখা এবং একটি জোটকে টেকসই করার ব্যাপারে এখনো তিনি পরীক্ষিত নন। সে যা-ই হোক সোমবার সকালে ঘুম থেকে জেগে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার বলেছেন প্রায়ুত শাসনযন্ত্র থেকে মুক্তি পাওয়া উচিত তাদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অভিনন্দন বার্তায় ভেসে যাচ্ছে। এসব বার্তা পোস্ট করছেন মুভ ফরোয়ার্ডের সমর্থকরা। তারা নিজেদেরকে ‘অর্গানিক ক্যানভাসার’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। দলের বিজয়কে ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলছেন ‘নতুন যুগের ভোরের আলো ফুটেছে’। অথচ যে দলটি থাইল্যান্ডের ব্যুরোক্রেসি, অর্থনীতি, সেনাদের ভূমিকা এমনকি রাজতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার আইন সংশোধন করার কথা বলেছে, তাদের জয় ছিল অকল্পনীয়। তাদের জয়, অন্য সব প্রতিযোগীর চেয়ে বেশি ভোট পাবে তা চিন্তাও করা যায়নি।