কে প্রথম কাছে এসেছে
ডেস্ক : ভালবাসা, স্নেহ ও আবেগের পরশ ছাড়াই এই সময়ের অনেক ছেলেমেয়েরা বড় হচ্ছে। মা-বাবার অমানবিক ব্যস্ত ও পরিশ্রান্ত চাকরি জীবনের কারণেই ওদের অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছে ছেলেবেলার স্নেহ আর সোহাগের থেকে। এর ফলে ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়াচ্ছে ওদের বাস্তব জীবন নিয়ে ধারণা। এমন অনেক জেন-ওয়াইয়ের ভালবাসাহীন জীবনযাপনের কথা ও বাঙালি সমাজের কড়া সত্যকে নিয়ে ছবি করছেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। ছবির নাম ‘কে প্রথম কাছে এসেছে’। সুশীল কুমার অগ্রবালের প্রযোজনায় এই ছবিটি হতে চলেছে এই প্রজন্মের অনেকেরই মনের কথা।
ছবির গল্পে বিদেশে বসবাসরত মেয়ে বর্ষা, বহুদিন পরে, নিজের দেশে ফেরে, কলকাতায় আসে। ছোট থেকেই কর্মরত বাবা-মায়ের ব্যস্ত জীবনে, স্নেহ ও ভালবাসা পায়নি বর্ষা। কলকাতায় এসে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার একটি প্ল্যান বানিয়ে ফেলে ও। ভুলতে চায় কিছুটা অবসাদ। এতক্ষণ অবধি সব ঠিক ছিল। কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার পথে, এক বাসে কন্ডাক্টরের প্রেমে টুপুস করে পড়ে যায় বর্ষা। ব্যস, কেল্লা ফতে! সেই প্রেমের ছোঁওয়ায় ভালবাসা শব্দটির অর্থ জানতে পারে বর্ষা প্রথমবারের জন্য। বাস কন্ডাক্টর যদিও আত্মগোপন করা এক পুলিশ কর্মী। একটি প্রোজেক্টের জন্যেই তাকে এমন ছদ্মবেশে আত্মগোপন করতে হয়েছে।
প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের ছবিতে এভাবেই প্রেম আর সাসপেন্স পাশাপাশি চলবে। দীঘা, গোপালপুরম ও উত্তর বঙ্গের মনোরম লোকেশন সেই প্রেম আর সাসপেন্স বাড়বে বই কমাবে না। তবে এই ছবির পরিচালক যেমন নতুন, তেমনই নতুন নায়ক-নায়িকাও। তাঁদের নাম ঋক আর জিনিয়া। প্রধান চরিত্রে তাঁরা থাকলেও, ছবিতে অভিনয় করছেন অভিনয় করছেন গৌরব, তৃষা, ঋতশ্রী ও প্রীতির মতো নবাগত-নবাগতরাও। একেবারে নয়া জেনারেশনের প্রেমের ছবি হতে চলেছে ‘কে প্রথম কাছে এসেছে’।
তা, বর্ষা কি খুঁজে পাবে তার জীবনের প্রথম ভালবাসা? জানতে হলে আরও একটু অপেক্ষার প্রয়োজন। তবে খুব বেশিও নয়। শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের দুর্গা পুজোর সময়ই নাকি রিলিজের ডেট ঠিক হয়েছে ‘কে প্রথম কাছে এসেছে’-র! তখনই দর্শকরা খুঁজে পাবেন ছবিটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সব প্রশ্নের উত্তর।