‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবো না’

06/03/2017 12:39 pmViews: 23
‘কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবো না’
 
'কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবো না'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির নিবন্ধন বাতিল আর জুযুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আপনাদেরই তো রাজনীতি জনগণের মন থেকে বাতিল হয়ে গেছে। কোন আপস নয়, সংগ্রাম। প্রয়োজনে কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করবো, তবু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবো না।
তিনি বলেন, জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখলে গোপন পথেই কিন্তু তারা প্রতিশোধ নেবে। অলিত গলিতে, চিপায় চাপায় গিয়ে প্রতিশোধ নেবে। এর জন্য দায়ী কিন্তু রাষ্ট্র। সুতরাং গণতন্ত্রের বিকল্প হল গণতন্ত্র।
আজ রবিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আসন্ন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে বীর উত্তম শহীদ জিয় শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ।
গয়েশ্বর বলেন, এতই সহজ যে খালেদা জিয়ার সাজা হয়ে যাবে? আজকে যাদের ফাঁসি হওয়ার কথা তারা রাষ্ট্র চালাচ্ছে। আর আমাদের নেত্রীকে সাজা দিয়ে দিবে। এতই সহজ। আমরা কি মরে গেছি? এ ব্যাপারে কোন ফর্মুলা দিয়ে কাজ হবেনা। এখন পুরো দেশটাই কারাগার। নতুন কারাগারের প্রয়োজন নেই। আমরা সহকর্মীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করে নির্বাচনে যেতে পারিনা।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, শুধু মুখে মুখে আর ঘরে বসে গণতন্ত্রের কথা বললে হবে না। টেলিভিশনে চেহারা দেখিয়ে আন্দোলন হয় না।স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করতে হবে রাজপথেই। আসুন আমরা গণতন্ত্রের জন্য আরো একবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করি।
তিনি বলেন, রাজপথেই নামতে হবে। সেই পথে গণতন্ত্রকামী জনগণের লাইন দীর্ঘ হবে। আর দীর্ঘ লাইনের ধাক্কায় সরকার পড়ে যাবে।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগ নেতারা খালেদা জিয়াকে জেল দিয়েছেন। এখন আবার বিএনপির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে আওয়াজ তুলছেন। যে লাইসেন্সে কাজ করা যাবে না সে লাইসেন্স রেখে কি লাভ? ফেলে দিলে কি হবে, কিছুই হবে না। তিনি আওয়ামী লীগের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, জামায়াতের তো নিবন্ধন নাই তারপরও তাদেরকে কেন ভয় পান?
সংগঠনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, শাহবাগ থানা কৃষকদলের সভাপতি এম জাহাঙ্গির আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

Leave a Reply