কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ১, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আমিরুল ইসলাম (৪২) নামের একজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের হাউজিং মাঠ এলাকায় গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, নিহত আমিরুল ডাকাত দল ও চরমপন্থী সংগঠনের আঞ্চলিক নেতা। নিহত আমিরুল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা গ্রামের জবেদ আলী মিস্ত্রীর ছেলে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নুল আবেদীন জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কে নির্মানাধীন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ এলাকায় মন্ডল ফিলিং স্টেশনের কাছে একদল ডাকাত সড়কের উপর গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এমন সংবাদে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ডাকাতরা পালিয়ে গেলে সড়কের নিচে হাউজিং মাঠে গুলিবিদ্ধ আমিরুলকে পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৪টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের চারজন সদস্য আহত হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাব্বিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহত আমিরুল ডাকাত দল ও চরমপন্থী সংগঠন গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা ছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যা, গুম, অপহরণসহ ৭টি মামলা রয়েছে।