কাশ্মিরের শক্তিমান নেতা আলি শাহ গিলানির মৃত্যুতে শঙ্কিত ভারত
কাশ্মিরের শক্তিমান নেতা আলি শাহ গিলানির মৃত্যুতে শঙ্কিত ভারত
ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের শক্তিমান নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে ভারত। তিনি ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের প্রখ্যাত নেতা ছিলেন। তিনি ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মির অঞ্চলের স্বাধীনতা চাইতেন। তার ইন্তিকালের পর তীব্র আন্দোলন হতে পারে বলে এমন শঙ্কায় কাশ্মির অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত। এছাড়া জম্মু-কাশ্মির অঞ্চলে সকল ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বুধবার এসব সংবাদ প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
জম্মু-কাশ্মির অঞ্চলে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সৈয়দ আলি শাহ গিলানি ছিলেন এক প্রবাদ পুরুষ। তিনি গত বুধবার রাতে মারা যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
সৈয়দ আলি শাহ গিলানির ছেলে নাসিম গিলানি সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেন, চরম গোপনীয়তার সাথে তার লাশ দাফন করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ভোর তিনটার দিকে ভারতীয় শাসক গোষ্ঠী সৈয়দ আলি শাহ গিলানির লাশ নিয়ে যায়। অথচ সৈয়দ আলি শাহ গিলানির শেষ ইচ্ছা ছিল তাকে যেন শ্রীনগরের শহীদদের কবরস্থানে দাফন করা হয়। আমরাও তার ইচ্ছা অনুসারে তাকে দাফন করার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জোর করে তার লাশ ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে গোপনে দাফন করে। তার লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেয়ার কারণে তারা এ পরিবারের নারীদের সাথে বিবাদে লিপ্ত হয়।
সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুর পর জম্মু-কাশ্মির অঞ্চলে সশস্ত্র ভারতীয় সেনারা রাস্তায় রাস্তায় চেকপোস্ট বসিয়ে টহল দিচ্ছে। তার মৃত্যু উপলক্ষে যেন কোনো আন্দোলন না হয় তার জন্য বিভিন্নভাবে বাধা দেয়া হচ্ছে। জম্মু-কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরের প্রধান বাণিজ্যক এলাকা এখন জনশূন্য। অধিকাংশ দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ। রাস্তায় যানবাহন চলাচলও বন্ধ করে রেখেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ইন্টারনেট সংযোগ ও মোবাইন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সৈয়দ আলি শাহ গিলানির ইন্তিকালের পর তীব্র আন্দোলন হতে পারে বলে এমন শঙ্কায় কাশ্মির অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত।
সূত্র : আল-জাজিরা