কাশিমপুর কারাগারে এমপি রনি
দুই সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার-২-এ স্থানান্তর হয়েছে।
কারাগার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে গোলাম মাওলা রনিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হয়। সেখানে তাকে কারাগারের ভিআইপি বন্দীশালার সুরমা ভবনের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভবনে দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সমালোচিত-আলোচিত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী বন্দী হিসেবে রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৪টার দিকে আদালত থেকে সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। সেখানে তাকে চম্পাকলি ডিভিশন সেলে রাখা হয়েছিল।
সেখানকার ডিভিশন সেলে তাকে অন্যান্য ভিআইপি বন্দীর মতো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছিল। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের চেয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভিআইপি কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে বলে কারাগার সূত্র জানিয়েছে। সেজন্য গোলাম মাওলা রনিকে সেখানে নেয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে রনির জামিন আবেদন নাকচ করে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুপুর পৌনে ১টা থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত তার জামিন আবেদনের পক্ষে-বিপক্ষে আইনজীবীদের শুনানি গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আশিকুর রহমান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে গোলাম মাওলা রনিকে আদালতে নেয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রনিকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের উদ্দেশে রওনা হয় ডিবি পুলিশ।
রিমান্ডের আবেদন না থাকায় রনিকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়নি। শুনানির সময় সাংসদ রনি সিএমএম আদালতের হাজতখানায় ছিলেন। এ লক্ষ্যে আদালত এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
সাংবাদিক মারধরের মামলায় সরকারদলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেফতার করে মহানগর ডিবি পুলিশ। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। রাতে তাকে রাখা হয় সেখানেই।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডের মেহেরবা প্লাজায় ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সামনে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের ২ সংবাদকর্মীকে মারধর করেন গোলাম মাওলা রনি। ওইদিন তিনি এবং ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করেন। পরদিন তিনি আদালত থেকে জামিন নেন। বুধবার বাদী এমপি রনির জামিন বাতিল চাইলে তা মঞ্জুর করে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়।