কালো টাকা ও বেনামী সম্পদকে মূল ধারায় আনতে হবে: সিপিডি

01/06/2015 8:15 pmViews: 10

কালো টাকা ও বেনামী সম্পদকে মূল ধারায় আনতে হবে: সিপিডি

 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, দেশের টাকা দেশে রাখতে ও বিনিয়োগ বাড়াতে অপ্রদর্শিত অর্থকে (কালো টাকা) অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে। এ জন্য অপ্রদর্শিত অর্থ আইন ও বেনামি সম্পত্তি আইন করা দরকার।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সিপিডি  আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১৪-১৫ তৃতীয় অন্তর্বতীকালীন পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশে অনেক মানুষই তাদের বৈধ আয়কে বিভিন্ন কারণে প্রদর্শন করেন না। অনেকে আবার দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হন। প্রতি বছরের বাজেটে উভয়ের জন্য একটি সাধারণ নীতিমালা করে এ টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়। ফলে অসৎ পথে টাকা উপার্জনকারীদের সংখ্যা বাড়ে। আর যারা নিয়মিত কর দেন তারা নিরুৎসাহিত হন। তাছাড়া অপ্রদর্শিত আয় প্রতি বছরের বাজেটে বৈধ করার প্রক্রিয়াটিও প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করেন তিনি। বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন নীতিমালা না থাকায় মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে তা পাচার হয়ে যায়। অনেকে আবার বেনামী সম্পত্তি গড়েন। ফলে এ টাকা দেশে উপার্জিত হলেও তা অর্থনীতির মূল ধারায় আসে না। এ টাকাকে অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার জন্য ও বেনামী সম্পত্তির জন্য পৃথক আইন প্রণয়ন করা দরকার। পার্শ্ববর্তী দেশের চুক্তি বিষয়ে দেবপ্রিয় বলেন, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি হচ্ছে। এর একটি হচ্ছে বাংলাদেশ হয়ে নেপাল, ভূটান ও ভারতে ট্রানজিট এবং সমুদ্র  পথে যোগাযোগ। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিসহ আরও কয়েকটি চুক্তি ইতিমধ্যেই হয়েছে। কিন্তু সমস্ত চুক্তিগুলো হচ্ছে আলগা আলগা ভাবে। একটি সমন্বিত কাঠামোর অধীনে এ চুক্তিগুলো হচ্ছে না। ফলে এর পুরো সুফল আমরা নিতে পারবো কিনা এ বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।
উদাহরণ দিয়ে দেবপ্রিয় বলেন, এর আগে ভারতের সঙ্গে ১ বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো উন্নয়নের একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এ অর্থের ২০০ মিলিয়ন ডলার পদ্মা সেতুতে ব্যবহার করেছে। বাকি ২০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে কিছু ওয়াগন কিনেছে। বাকি অর্থ তারা এখনও ব্যবহার করেতে পারেনি। এ জন্যই ভারতের সঙ্গে চুক্তির সুফল পেতে হলে, সামগ্রিকভাবে একটি ট্রানজিট ও বিনিয়োগ কাঠামো দরকার। কিন্তু সেটা হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রভাবে। এ ছাড়া ভারতীয় ঋণের ব্যবহার বড় পরিসরে দেখা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ভারতের ভেতরে বাংলাদেশী পণ্য বা বাংলাদেশের ভেতরে ভারতীয় পণ্য পরিবহনে মাশুল দিতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের পণ্য ভারতে গেলে তার মাশুল কি হবে তা পরিস্কার নয়। এট নির্ধারণ করতে হবে।
পরে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারতের সঙ্গে চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে, ২৭টি স্থল বন্দরের অবকাঠামোর উন্নয়ন দরকার। এর সঙ্গে যোগায়োগ ব্যবস্থার উন্নয়ন দরকার। সর্বোপরি ভারতের সঙ্গে বিষয়গুলো ডিল করার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন রয়েছে। যার অভাব সরকারের রয়েছে।

Leave a Reply