কালকিনিতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
কালকিনিতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
২৪ জুলাই ২০১৫,শুক্রবার
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ম্যালকাই নীলখোলা নামকস্থানে মাদারীপুর থেকে আসা একটি লোকাল বাসের সাথে বরিশাল থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতাল, কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শুভ (৩৫) ও মনি (৩০) নামে দুই যাত্রীকে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল থেকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া আহত সুমন খন্দকার (২৮), আলআমিন মাতুব্বর (৩০), আবু আইয়ুব আনসারী (৩৫), মজিবুর রহমান সাজুর (৫৪) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনার পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে প্রায় দেড় কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ম্যালকাই নীলখোলা নামকস্থানে মাদারীপুর থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী মায়ের দোয়া নামের বাসের সাথে (যশোর ব-৮৪১) বরিশাল থেকে কাওড়াকান্দির উদ্দেশে ছেড়ে আসা ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসের (চট্টগ্রাম ম-১১-০০৬) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে রাজিব দাস নামে একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাজিব পটুয়াখালি সদর রোডের রাবীন্দ্রনাথ দাসের ছেলে।
ডাসার থানার ওসি এমদাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গুরুতর আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতাল, কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মো. কালামউদ্দিন বিশ্বাস ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ হেমায়েত উদ্দিন জানান, নিহতের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা ও আহদের পাঁচহাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।