কারাগারে থেকেই চেয়ারম্যান হলেন জামায়াত নেতা

22/09/2015 6:48 pmViews: 5

কারাগারে থেকেই চেয়ারম্যান হলেন জামায়াত নেতা

কারাগারে থেকেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি হাফেজ কাজী মাওলানা নুরুল আলম চৌধুরী। পাগড়ী প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪৪৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান সাহেবী টুপি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭৩৩ ভোট। ৭১৭ ভোটের ব্যাবধানে বেসরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে কারারুদ্ধ এ জামায়াত নেতাকে।

এদিকে কারাগারে থেকে জামায়াত নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তা ‘টক অব দ্য চিটাগাং’য়ে পরিণত হয়। চট্টগ্রাম নগরীসহ বিভিন্ন স্থানে এটাই যেন আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠে। বিভিন্ন জায়গায় জামায়াতের সমর্থকরা মিষ্টি বিতরণ করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এ খবর। অনেকে মন্তব্য করে বসেন, ‘লোহাগাড়া নয় শুধু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রাখবে জামায়াত।’

রাজনৈতিক মামলা-হামলার কারণে লোহাগাড়া সাতকানিয়ার সাবেক এমপি মাওলানা শামশুল ইসলাম দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে। অন্যান্য স্থানীয় নেতাদের বেশিরভাগ জেলে অথবা আত্মগোপনে। এমতাবস্থায় মাত্র একটি ইউনিয়নে প্রার্থী দিয়ে বিজয়ী হওয়ায় স্থানীয় জামায়াত নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক অনুপ্রেরণা সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিজয়কে অনেকেই বড় বিজয় বলেই দেখছেন। নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী প্রফেসর ড. ছাবের আহমদ নয়া দিগন্তকে বলেন, জামায়াত প্রার্থী দিলেই বিজয়ী হয় এ ধারাবাহিকতা এখনো অক্ষুন্ন আছে লোহাগাড়া-সাতকানিয়ায়। আমরা যে সৎলোকের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কল্যাণমুখী সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি জনগণ তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক এস এম লুৎফর রহমান দাবি করেন, অন্য দুই ইউনিয়নে প্রার্থী দিলেও একই ফলাফল হতো বলে দাবি করেন তিনি।

প্রসঙ্গত: ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লোহাগাড়া সদর ও আধুনগরে প্রার্থী না দিলেও আমিরাবাদে প্রার্থী দেয় জামায়াত। তফসীল ঘোষণার পরপরই গ্রেফতার হন মাওলানা নুরুল আলম।

Leave a Reply