কারচুপি হলেই কর্মসূচি দেবে বিএনপি
গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লার লাকসামে আওয়ামী লীগের এমপি তাজুল ইসলামের এপিএস মনিরুল ইসলাম রতনের নেতৃত্বে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা ও ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীরা। পৌরসভার গাজীমোড়া এলাকায় এই হামলায় বিএনপির সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজিম ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজির আহমেদের গাড়িবহরও ভাঙচুর করা হয়। একই দিন সকালের দিকে যশোরে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মারুফুল ইসলামের গণসংযোগে হামলা চালানো হয়। এ সময় বিএনপির বেশ কয়েক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের পরে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বগুড়ায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মাহাবুুবুর রহমানকে ধাওয়া দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগের হামলায় সুজন নামে বিএনপির একজন কর্মী আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনা ঘটেছেও শরীয়তপুরেও। এছাড়া নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে গ্রেফতার অভিযানে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপির তিনজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। এর আগের দিন বুধবার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণার সময় কুমিল্লায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক ও পটুয়াখালীতে ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর হামলার শিকার হন।
গতকাল নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে দলের প্রার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা তুলে ধরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ দলের প্রার্থী ও এজেন্টদের নিরাপত্তা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। তিনি নির্বিঘ্নে ভোটারদের ভোট দেয়ার গ্যারান্টিও দাবি করেছেন। দলীয় প্রার্থীদের ওপর হামলা, প্রচারে বাধা ও নেতাকর্মীদের আটকের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে। বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানায়। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী নামানোর মতো পরিস্থিতি হয়নি।
এদিকে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারণায় হামলা, নেতাকর্মীদের আটক, নেতাকর্মী ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ পৌরসভা নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি কূটনীতিকদের অবহিত করেছে বিএনপি। বুধবার দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি নেতারা তাদের কাছে পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন। বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির এক নেতা কূটনীতিকদের জানান, নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে কাজ করছে। ক্ষমতাসীন সরকার চায় না সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে কারচুপির আশ্রয় নিচ্ছে। জবাবে কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, তারা পৌরসভা নির্বাচনসহ সার্বিক পরিস্থিতির ওপর তীক্ষè নজর রাখছেন।