কানাডায় ৬৫, ফ্রান্সে ৭৪, জার্মানিতে ৭৬ ভাগ ভোটের হার:
কানাডায় ৬৫, ফ্রান্সে ৭৪, জার্মানিতে ৭৬ ভাগ
ভোটের হার:
একটা সময় এমন ছিল না। ভোটে নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল, তবু্ও মানুষ দলে দলে ভোট দিতে যেতো। কিন্তু গত কয়েকবছর ধরে ভোটের প্রতি অনীহা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। ভোটের হার থাকে খুবই কম। যা দেখানো হয় তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন, উন্নত বিশ্বে ভোটের হার কম। বাংলাদেশও উন্নত হচ্ছে। তাই ভোটারদের আগ্রহ কমছে।
সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণে ২৯ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন৷ আর উত্তরে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ৷ ভোটার উপস্থিতি কম প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিজয়ী আতিকুল ইসলাম বলেন, … আরও ভোটার আসলে অবশ্যই আরও ভালো লাগতো৷ কিন্তু আমি মনে করি যে, একটি দেশ কিন্তু উন্নতির দিকে যাচ্ছে৷ উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কিন্তু পরিণত হতে যাচ্ছে৷ তার প্রমাণ কিন্তু ভোটারের উপস্থিতি৷ কারণ, বিদেশে কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভোটারের উপস্থিতি কিন্তু অনেক কম থাকে৷
উন্নত বিশ্বে আসলে ভোটের হার কেমন। এ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে। এতে দেখা যায়-
কানাডা: গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে ৬৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন৷
জাপান: ২০১৭ সালে জাপানে সবশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ সে সময় ৫৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছিলেন৷ শিল্পোন্নত সাত দেশে অনুষ্ঠিত সবশেষ সাধারণ নির্বাচনগুলোর মধ্যে জাপানে ভোটার উপস্থিতি সবচেয়ে কম ছিল৷
ফ্রান্স: ২০১৭ সালে ৭৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন৷
জার্মানি: ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন৷
ইতালি: ২০১৮ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ৭৩ দশমিক ০৫ শতাংশ ভোটার ভোট দেন৷
যুক্তরাজ্য: ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ৬৭ দশমিক ৩০ শতাংশ৷
যুক্তরাষ্ট্র: ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারদের ৮৬ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন৷ তবে ভোট দেয়ার বয়সে পৌঁছানো মার্কিনিদের হিসেবে ভোট পড়েছে ৫৫ দশমিক ৭০ শতাংশ৷