কাউন্সিল করে সরকার চালাবে তালেবান, শীর্ষে থাকবেন আখুনজাদা
কাউন্সিল করে সরকার চালাবে তালেবান, শীর্ষে থাকবেন আখুনজাদা
তালেবানের শাসনে আফগানিস্তানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থাকবে না বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতা ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কাউন্সিল গঠন করেই রাষ্ট্র পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের শীর্ষ নেতারা। হাশিমি বললেন, কোনো গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকবে না। কারণ আফগানিস্তানে এর কোনো ভিত্তিই নেই। এ দেশে কোন ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা চলবে সেটি নিয়ে আলোচনার কিছু নেই; এটা পরিষ্কার। এখানে শরিয়াহ আইনই শেষ কথা।
কাউন্সিলের প্রধান হিসেবে থাকবেন তালেবানের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা। তালেবানের সভায় যাকে নিয়মিত দেখা যাবে না, তার আবাসস্থলও থাকবে গোপন। হাশিমি আরো জানান, আখুনজাদারই কোনো এক ডেপুটিকে বসানো হবে প্রেসিডেন্ট পদে। শীর্ষ নেতাদেরই আবার তিনজন করে ডেপুটি আছেন- মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব, হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানি ও দোহায় তালেবান অফিসের প্রধান আবদুল গনি বারাদার। তবে দেশ চালানোর ব্যাপারে এখনো অনেক কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
এ দিকে মার্কিন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আফগান সেনা ও পাইলটকে যার যার পদে যোগ দিতে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাশিমির বক্তব্য হলো, তারা নতুন একটি জাতীয় বাহিনী গড়ে তুলবেন। যাতে নিজেদের সদস্যরা তো থাকবেনই, আগের আফগান বাহিনীর সদস্যদের কেউ স্বেচ্ছায় যোগ দিতে চাইলে তারাও থাকবেন। আফগান বাহিনীকে সুযোগ দেয়ার ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তাদের বেশির ভাগই তুরস্ক, জার্মানি ও ইংল্যান্ডে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তাই তাদের সাথে আমরা আলাপ করব।
হাশিমি আরো জানান, তাদের পাইলটের সঙ্কট বেশি। নেই বললেই চলে। বিভিন্ন এলাকায় দখল করা হেলিকপ্টার ও সামরিক এয়ারক্রাফটগুলো তারা ব্যবহার করতে পারছেন না। যার কারণে আফগান বাহিনীর পাইলটদের প্রতি তাদের খানিকটা দুর্বলতাও আছে। তালেবানের সাথে যোগ দিলেই পাইলটদের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ইঙ্গিত দেন হাশিমি। ‘সুতরাং, আমরা তাদের সাথে কথা বলব যেন তারা নিজেদের পূর্বাবস্থানে ফিরে আসেন’, যোগ করেন ওয়াহিদুল্লাহ হাশিমি।
তিনি আরো বলেন, অবশ্যই আমাদের কিছু পরিবর্তন হবে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীতে কিছু সংস্কার করতে হবে। তবুও আমাদের তাদের দরকার এবং তালেবান সরকারের সাথে যোগ দেয়ার জন্য তাদের ডাকব। আমাদের অনেক পাইলটের সাথে যোগাযোগ আছে। আমরা তাদের ফিরে আসতে এবং ভাইদের সাথে ও সরকারের সাথে যোগ দিতে বলেছি। আমরা তাদের অনেককে ফোন করেছি এবং অন্যদের নম্বর খুঁজছি তাদের কল করার জন্য। তাদের চাকরিতে পুনরায় যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছি।