কসবায় ভূমিদস্যু পৌর আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে জোরপুর্বক ভূমি দখলের অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম ও শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে জোরপুর্বক ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। তারা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন মামলা চলাকালীন ভূমি দখল করতে উশৃঙ্খল লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ভূমি দখল করতে ঘর নির্মাণ করেছেন বলে ভুক্তভোগী প্রতিকার ও সম্পদ রক্ষার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে ১৭/০২/২০২৩ তারিখে কসবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেছেন। থানার জিডি নম্বর ৭৮৭। এতে দেখা যায়, কসবা থানাধীন পৌরসভাস্থ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাদি আশরাফুল ইসলাম রাজু অভিযোগ করেছেন যে তার মালিকানাধীন কসবা মৌজার ৯৫৩/৯৫৪/৯৫৫ দাগের ৮৯ শতক ৩২ ডোবা ভূমিতে বিবাদী আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল জোরপুর্বক দখলের জন্য ঘর নির্মাণের চেষ্টা করছেন। এতে অন্য অভিযুক্তরা হলেন- পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের শান্তিপাড়া গ্রামের আইয়ুব মিয়ার ছেলে শাহাদাৎ হোসেন, ফজলুল হকের ছেলে মো. কাকন মিয়া(৪২) ও মো. আতাউর রহমান ওরফে বাবু(৪০), আবুল হাশেম ওরফে বড় মিয়ার ছেল ওসমান হারুনুর রশিদ শাহিন, সেলু খাঁয়ের ছেলে শহিদুল খাঁ তারা সকলে কসবা পৌরসভার তেতৈইয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা সকলে সংঘবদ্ধ হয়ে ভূমি দখলের চেষ্টায় লিপ্ত।
সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয় যে বিবাদী গণের সঙ্গে তফশিল বর্ণিত ভূমি নিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজ্ঞ আদালতে পি-১৬০/২২ ধারা১০৭/১১৪/১১৭(গ) ধারা নন জিআর ০৫/২২ ধারা ১০৭, জিআর ৬০/২২ ধারা ৩৮৫ দণ্ডবিধির একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। এর আগে অভিযুক্তরা নন জিআর-০৫/২২ মামলায় আদালতে ইতোপূর্বে মুচলেকা দিয়েছেন। এছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এর আগেও ভূমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১১১/২৩ (৭/৩/২৩)। মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। অভিযুক্ত সফিকুল ইসলাম, ইদন মিয়া ও এলু মিয়ার বিরুদ্ধে কসবা সদরে মানুষের ভূমি দখল, নতুন বাড়ি করার সময় চাঁদাবাজি করার অভিযোগে জননিরাপত্তা আইনে মামলা রয়েছে। এলু মিয়ার ৭ বছরের কারাদণ্ডের হাইকোর্টের আদেশ রয়েছে। তবুও তিনি প্রকাশ্যে এখনো চাঁদাবাজি ও ভূমিদখলে লিপ্ত রয়েছেন। জানা যায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
এর আগে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল তার ক্যাডার বাহিনী নিয়ে উল্লেখিত ভূমি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি উপজেলা পরিষদে এবং মার্চ মাসের ২৫ তারিখ থানায় সালিশ বৈঠক বসলেও নিজের মালিকানার পক্ষে সফিকুল কেনো কাগজ পত্র উপস্থাপন করতে না পেরে বৈঠক থেকে বের হয়ে যান বলে দাবি করছেন বাদী আশরাফুল ইসলাম। বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়ে এবার সফিকুল ও তার সহযোগীরা রড, ক্রিজ, লাঠিশোঠা নিয়ে ভূমি দখলে ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করছে। দেয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। জীবন ও সম্পদ নিয়ে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটছে বলে দাবি করছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। এমতাবস্থায় ভুক্তভোগীর পরিবার প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।