করোনাকালীন পবিত্র ঈদ-উল-আযহায় সওয়াব’র অনন্য উদ্যোগ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের অন্যতম বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সওয়াব (সোশ্যাল এজেন্সী ফর ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড এডভান্সমেন্ট ইন বাংলাদেশ) প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও কুরবানীর ঈদে দেশের দরিদ্র, অসহায়, দুঃস্থ, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও পাশাপাশি চলমান করোনা মহামারী প্রভাবিতদের মাঝে কুরবানীর গোশত বিতরণ করে আর্তমানবতার সেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এতে সমাজের এসব অসহায় মানুষের জন্য কুরবানীর ঈদ উদযাপন সহজ হয়েছে। যারা কখনো একটু গোশত কিনে খেতে পারেনা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে এই কুরবানীর গোশত পাওয়ার আশায় সেসব অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠী কিংবা যারা এক সময় কিনতে পারলেও করোনা মহামারীর কারণে বেকার বা অর্থ সংকটে আছেন সওয়াব খুঁজে খুঁজে সেসব মানুষের কাছে কুরবানীর গোশত পৌঁছে দিয়ে তাদের পরিবারে হাঁসি ফুটিয়েছে।
সওয়াব এবারের ঈদে সারাদেশে মোট ২০০ টির বেশি গরু ও ৬৬ টি ছাগল কুরবানী দিয়েছে। বিশেষ করে কক্সবাজারে অবস্থানরত মায়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের শিবিরে, ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর, সুনামি বিধ্বস্থ সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, চাঁদপুর, রাজবাড়ীসহ দেশের প্রায় ১৭ টি জেলায় এসব গরু ও ছাগল কুরবানী প্রদান করে এর গোশত দু:খী ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়। প্রায় ১১,৬০০ টি পরিবারের মধ্যে এই গোশত বিতরণ করা হয়। তাতে পরোক্ষভাবে প্রায় ৫৮,০০০ মানুষ সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, সওয়াব ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের বিশাল বহর কক্সবাজারে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে এবং সম্প্রতি এদের একটি অংশ যারা ভাষানচরের শিবিরে অবস্থান করছেন তাদের মধ্যে মানবিক সহায়তা যেমন খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা সহায়তা এবং শিশুদের শিক্ষা প্রদান করে চলেছে। এছাড়াও, সওয়াব চলমান করোনা সংকট মোকাবেলা এবং দেশের যেকোন প্রান্তে, বন্যা, ঘুর্ণিঝড়সহ যেকোন দুর্যোগে জরুরী আর্ত-মানবতার সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
সওয়াব, ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশে সম্পূর্ণরূপে একটি বেসরকারী, অ-রাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন নিয়ে কাজ করছে। সংস্থাটি নারী ও শিশুদের উন্নয়ন, সমাজের দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত অংশের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবা এবং পুষ্টি, পরিবেশ সংরক্ষণ, উপার্জনমূলক কার্যক্রম ইত্যাদির মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করছে। একটি দরদী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সওয়াব নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে যেখানে সমাজের অনাথ শিশুদের যতœ ও শিক্ষা, দরিদ্র ও দুস্থ মহিলাদের সহযোগিতামূলক নানা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এছাড়া, অসহায় মানুষকে আত্ম-কর্মসংস্থানমূলক বিভিন্ন খাতে যুক্ত করছে যাতে তারাও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন।