কবর থেকে উঠে এলো জীবিত মানুষ!
ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত এক ঘটনায় হতবিহ্বল সবাই। ইন্টারনেটে এরই মধ্যে ভাইরাসের মতো খবরটি ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। সাও পাওলোর এক শহরতলি ফেরাজ ডি ভাসকনসেলোসে অবস্থিত পারিবারিক কবরস্থানে গিয়েছিলেন এক নারী। সেখানে গিয়ে তিনি যা দেখলেন, তাতে রীতিমতো বাকরূদ্ধ হবার দশা হয় তার। প্রথমেই অস্পষ্ট কিছু শব্দ কানে আসে। এরপর নিচে তাকিয়ে তিনি দেখেন, পুরুষ মানুষের একটি হাত মাটি সরিয়ে ওপরে উঠে আসছে। এ দৃশ্য দেখে ভীষণ ভয় পেয়ে যান তিনি। শিউরে ওঠেন। নিজের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে তিনি বলেন, আমি লোকটিতে কবর থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করতে দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি। আমি তাকে মৃত ভেবেছিলাম। তিনি বলেন, তার হাত ও মাথা বের হয়ে এসেছিল। হাত নাড়ছিলেন তিনি। প্রথমে ওই নারী ভয়ে চিৎকার দিয়ে সেখান থেকে দৌড়ে পালাচ্ছিলেন। কিন্তু, পরে তিনি ফিরে গিয়ে জরুরি সেবা পেতে পুলিশকে ফোন করেন। কবরস্থানের একটি অংশে তাকে অর্ধেক সমাহিত অবস্থায় উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা। পুলিশকে ওই নারী যখন ঘটনাটি জানালেন, তারা কোনভাবেই তাকে বিশ্বাস করছিল না। বরং, ওই নারীর বিরুদ্ধে পুলিশের সময় নষ্ট করা ও অযথা মস্করা করার মৌখিক অভিযোগ আনছিলেন তারা। বহু চেষ্টার পরও যখন তিনি পুলিশকে বোঝাতে ব্যর্থ হন, তখন কবরস্থান কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত কাজ হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মেইল। এ ঘটনাটি প্রায় ১ সপ্তাহ আগে ঘটেছে। ইউটিউবে ওই ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করা হয়েছে। ওই ভিডিও পোস্টটিতে দেখা গেছে, ধূসর রঙের জাম্পার পরা ওই ব্যক্তির শরীরের নিচের অংশ সম্পূর্ণ সমাহিত। ব্রাজিলের রেকর্ড টিভি’তে প্রচারিত বেশ কিছু ছবিতে তাকে প্রায় নি®প্রাণ মনে হয়েছে। তবে, উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য তার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে অক্সিজেন দিচ্ছিলেন। ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় কিছুই প্রকাশ করা হয়নি। স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। পুলিশের ধারণা, উদ্ধারকৃত ওই ব্যক্তি শহরের আরেকটি অংশে মারামারি করতে গিয়ে আহত হন। কয়েকজন হামলাকারী তাকে প্রচণ্ড মারধর করে ও অচেতন অবস্থায় আগে থেকেই খোঁড়া একটি কবরে ফেলে মাটি চাপা দেয়। জ্ঞান ফিরে পেয়ে তিনি গোঙাতে শুরু করেন। আর সেই শব্দই ওই নারীর কানে পৌঁছেছিল। এরপর তাকে উদ্ধার করা হয়।