কন্যা শিশুরা দুর্যোগ ও বন্যায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে : চুমকি
কন্যা শিশুরা দুর্যোগ ও বন্যায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে : চুমকি
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাভোগী নির্বাচনে জনপ্রতিনিধিদের আরও বেশি সচেতন এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় লক্ষ্য করা গেছে একই পরিবারের একাধিব ব্যক্তি বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছে। অনেক পরিবারের কেউই কোন সুবিধা পাচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানে সরকার একটি ডাটাবেজ তৈরির কাজ করছে।
আজ (বুধবার) সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতি ও অভিজ্ঞতা বিষয়ক কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে ওয়ার্ল্ড ভিশন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ যৌথভাবে এই কনভেনশনের আয়োজন করে। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে কনভেনশনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষনার সিনিয়র রিচার্স ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রুরাল ডেভেলপমেন্টের টিম লিডার ডোরসে ভোসে , খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সাধারন সম্মাদক মহলিন আলী প্রমুখ।
মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, কন্যা শিশুরা দুর্যোগ ও বন্যায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে কন্যা শিশুরা পুনর্বাসন কেন্দ্রে অথবা নিজ গৃহে অনেক সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।
কানভেনশনে বেশ কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। সেগুলো হলো, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের মধ্যে অতিদরিদ্র ডাটাবেজ সম্পন্ন করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকারভোগীদের স্বচ্ছ তালিকা করা; প্রকল্প এলাকায় উপকারভোগী নির্বাচনে অনিয়মের ক্ষেত্রে ইউপি‘তে ‘অভিযোগ/পরামর্শ বক্স’ স্থাপন করা; ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্দিষ্ট স্থানে উপকারভোগীদের তালিকা প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; সকল কর্মসূচির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া মনিটরিং নিশ্চিত করা; ভিজিডি কর্মসূচির উপকারভোগীদের (দুঃস্থ নারীদের ) আর্থ-সমাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে চলমান সহয়তার পাশাপাশি আয়বর্ধক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহয়তা করা; অন্তর্ভূক্তিমুলক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সমতল এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহন করা; বিদ্যমান নীতিমালায় স্থানীয় পর্যায় কমিটিতে (ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়) উপকারভোগীদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি রাখার বিধান করা।