কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে ১৮ দলের নেতারা
ঢাকা,১৭ অক্টোবর: কঠোর গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতারা।
একই সঙ্গে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রধম সারির দশ নেতার গতিবিধির উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী।
মহানগর পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এথা স্বীকার করে বলেন, গত ক’দিন ধরে এসব রাজনৈতিক নেতা যে বক্তৃতা-বিবৃতি দিচ্ছেন তাতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। যে কারণে ঐসব নেতার তালিকা করে তাদের উপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।
একই কারণে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে বলে পুলিশের ঐ কর্মকর্তা জানান। তবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না বলে বিএনপির পক্ষ থেকে সকালে রুহুল কবির রিজভী আহমেদ যে অভিযোগ করেছেন তার কোনো সত্যতা নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হঠাৎ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করে পুলিশ। কার্যালয়ের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব। আছে রায়টকার, জলকামানসহ অনেক সরঞ্জাম।
বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জানিয়েছেন, “খুব সকাল থেকেই পুলিশ বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না। কার্যালয়ে অবস্থান করা কর্মচারীদের পুলিশ জানিয়েছে, কেউ যেন ভেতর থেকে বাইরে না আসে বা কেউ যেন ভেতরে না যায়। কোনো নেতা এলেই গ্রেপ্তার করা হবে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের উপকমিশনার আশরাফুজ্জামান বলেন, কাউকে বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না, এটি ঠিক নয়। তিনি বলেন, ওই এলাকায় অনেক সময় ভাঙচুর হয়, তাই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হঠাৎ কেন নিরাপত্তা বাড়ানো হলো জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি বিএনপির নেতা-কর্মীদের দা-কুড়াল নিয়ে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এ কারণে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একটি সূত্র জানায়, বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের প্রথমসারির নেতাদের উপর নজরদারি বাড়ানোর জন্যে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশণা রয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী যে নেতাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে তাদের মধ্যে এখন প্রথমস্থানে রয়েছেন ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।
এছাড়াও ঐ তালিকায় রয়েছেন জয়নুল আবদীন ফারুক, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ,শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাইফুল আলম নিরব,হাবিবুন্নবী খান সোহেল, মীর শরফত আলী সপু, শফিউল বারি বাবু এবং আজিজুল বারি হেলাল।
এসবি’র সূত্রটি আরো জানায়, তালিকার শীর্ষে থাকা এই দশ নেতার বাইরেও যাদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ছাত্রদল সভাপতি জুয়েল এবং সেক্রেটারি হাবিব।