ঐশী একাই হত্যা করে

06/10/2013 5:50 pmViews: 8

osiপ্রতিবেদক : রাসায়নিক পরীক্ষা বা ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার পর রবিবার পুলিশ জানিয়েছে বাবা-মার হত্যার সঙ্গে ঐশী রহমান একাই জড়িত বলে প্রমাণ মিলেছে। হত্যার আগে তাদের ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে এমনই প্রমাণ পাওয়া গেছে রিপোর্টে। গত শনিবার মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ভিসেরা রিপোর্ট হস্তান্তর করেছে মহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষ।

ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার ফলে মামলার তদন্ত কাজ এক প্রকার শেষ পর্যায়ে। দ্রুত আলোচিত এই মামলার চার্জশিট দেয়া হচ্ছে বলে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান।

গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় চামেলীবাগের ২ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলার ৫/বি নম্বর ফ্ল্যাট থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান (৪৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের (৩৯) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরদিন ১৭ আগস্ট নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমান পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে। এ মামলায় ঐশী ও তাদের বাড়ির গৃহকর্মী সুমী বেগম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দি থেকে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় ঐশী ও সুমীসহ বেশ কয়েকজনের ডিএনএ নমুনা হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত রক্ত ও চুলসহ অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করা হয়। গত ১ অক্টোবর আলামতের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামতের সঙ্গে ঐশী ও তার পিতামাতার নুমনা মিলে যায়। মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঐশী একাই ঘটিয়েছে।

মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পুরো প্রক্রিয়া জানতে রাসায়নিক পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়। সে অনুযায়ী ঘটনাস্থল থেকে এবং নিহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশ রাসায়নিক পরীক্ষার আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবারই ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া গেছে। রিপোর্টে স্ত্রীসহ পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার আগে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর প্রমাণ মিলেছে।

তিনি আরও বলেন, ডিএনএ ও ভিসেরা রিপোর্ট ছাড়াও অন্যান্য তদন্তেও হত্যাকাণ্ডটি ঐশী একাই করেছে সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলাটির তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং চার্জশিট দাখিলের প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।

Leave a Reply