এমপিপুত্র রনির গুলিতেই জোড়া খুন: মনিরুল ইসলাম
১৯ জুন, ২০১৫
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ক্ষমতাসীন দলের এমপি পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির বন্দুকের গুলিতেই রাজধানীর ইস্কাটনে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, তদন্তের কাজ শেষের দিকে। সিআইডির ব্যালাস্টিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ভিকটিমদের গায়ে পাওয়া গুলি ও রনির পিস্তল একই ক্যালিবারের। রনির লাইসেন্স করা পিস্তল থেকেই গুলি বেরিয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। তা এখন আদালতে প্রমাণ সাপেক্ষ।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
ডিবির এ যুগ্ম কমিশনার বলেন, রনিকে রিমান্ডে নিতে আবারও আবেদন করা হবে। পরে তাকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হবে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, নিহত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলীর শরীর থেকে উদ্ধার করার সময় গুলিটি ভেঙে যায়। ভাঙা গুলির পয়েন্ট ৩২ বোরের। বখতিয়ার আলমের কেনা গুলিও একই বোরের। আর রিকশাচালক হাকিমের পেট দিয়ে গুলি ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। তার শরীরে কোনো গুলি পাওয়া যায়নি।
এদিকে বখতিয়ারের বন্ধু কামাল মাহমুদ, মো. কামাল ওরফে টাইগার কামাল এবং জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে তারা বলেছেন, ঘটনার দিন রাত দেড়টার দিকে তারা সোনারগাঁও হোটেল থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন। বখতিয়ার বসেন চালকের পাশের আসনে। কামাল মাহমুদসহ তিন বন্ধু পেছনে ছিলেন। প্রথমে জাহাঙ্গীরকে মগবাজার ডাক্তার গলির সামনে নামিয়ে দেয়া হয়।
আদালতে কামাল জানায়, রাত পৌনে দুইটার দিকে নিউ ইস্কাটনে এলএমজি টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে গাড়ি যানজটে আটকে যায়। এতে অসহ্য হয়ে বখতিয়ার পিস্তল দিয়ে চার-পাঁচটি গুলি ছোড়েন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর ইস্কাটনে রিকশাচালক আবদুল হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তারা দুজনেই ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি পুলিশ বখতিয়ার আলম ও গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে গত ৩১ মে গ্রেফতার করে।
–