এবার রংপুরে দুর্বৃত্তের গুলিতে জাপানি নাগরিক নিহত
এবার রংপুরের কাউনিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে এক জাপানি নাগরিক নিহত হয়েছেন। তার নাম হোসি কোমিও। গ্রামের পথে রিকশাযোগে নিজের একটি কৃষি খামার দেখতে যাওয়ার সময় এ হামলার শিকার হন তিনি।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মাহিগঞ্জের আলুটারি মহিষওয়ালা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
কোমিওর মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।
কোমিও ছিলেন একজন এনজিও কর্মী। তিনি রংপুর শহররে মুন্সিপাড়ায় জাকারিয়া বালা নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
ঢাকার গুলশানে ইতালিয় নাগরিক সিজারি তাভেল্লার হত্যার এক সপ্তাহের মধ্যে আরেক বিদেশী নাগরিককে হত্যার এ ঘটনা ঘটল ।
তবে এ হত্যার কারণ এবং কে বা কারা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিক পুলিশ তা জানাতে পারেনি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর কাউনিয়ার থানার ওসি রেজাউল করিম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, দুই মুখোশধারী এ বিদেশী নাগরিককে গুলি করে পালিয়ে যায়। আমরা আশপাশে পুলিশের নজরদরী বাড়িয়েছি। অপরাধীদের ধরতে ও ঘটনার দ্রুত তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ ফোর্স কাজ শুরু করে দিয়েছে।
ওসি বলেন, কোমিও রিকশাযোগে তার কৃষি প্রকল্পে যাচ্ছিলেন। দুই দুর্বৃত্ত মোটর সাইকেলে করে এসে তাকে গুলি করে। গুলি তার বুকে, ডান হাতে এবং কাঁধে বিদ্ধ হয়।
ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া চারজন হলেন- মুরাদ, রিকশা চালক মুন্নাফ মিয়া, হিরা ও জাকারিয়া। এর মধ্যে মুন্নাফের রিকশায় যাচ্ছিলেন কোমিও। আর হিরার সঙ্গে তিনি ব্যবসা করতেন। এবং জাকারিয়ার বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জাকির হোসেন জানান, কোমিওর বুকে তিনটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কে ইতালিয় নাগরিক সিজার তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশন নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রুফ (প্রফিটেবল অপরচুনিটিজ ফর ফুড সিকিউরিটি) কর্মসূচির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ছিলেন। মাত্র পাঁচদিনে মাথায় আজ সকালে রংপুরের গ্রামে আরেক বিদেশীকে হত্যা করল দুর্বৃত্তরা।