এবার যুদ্ধে ইসরাইলকে সহায়তা করতে যুদ্ধজাহাজ ও বিমান পাঠাচ্ছে বৃটেন
এবার যুদ্ধে ইসরাইলকে সহায়তা করতে যুদ্ধজাহাজ ও বিমান পাঠাচ্ছে বৃটেন, ফিলিস্তিনের গাজা অংশে বৃষ্টির মতো বোমা ফেলছে ইসরাইল। এমন অবস্থায় ইসরাইলি হামলা প্রতিহত করতে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে গাজার যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস। কিন্তু হামাস যাতে ইরান কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে অস্ত্র পেতে না পারে তা নিশ্চিত করতে ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে বৃটেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়, অন্তত দুটি যুদ্ধজাহাজ, একশ নাবিক এবং নজরদারি বিমান পাঠানো হবে ইসরাইলকে সহায়তা করার জন্য। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ যখন ৬ষ্ঠ দিনে পড়েছে, তখনই এ ঘোষণা এলো বৃটেনের তরফ থেকে। শুক্রবার থেকেই গাজার আশেপাশে নজরদারি শুরু করবে বৃটিশ বিমান। কেউ যাতে ফিলিস্তিনিদের কাছে অস্ত্র পৌঁছাতে না পারে তা নিশ্চিত করবে দেশটি।
যুদ্ধে ইসরাইলকে একতরফা সুবিধা দিতে নানা ব্যবস্থা নিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়া ও মুসলিম দেশগুলো যখন গাজার ওপর ইসরাইলি হামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে চলেছে, তখন ইসরাইলকে আরও সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন। তিনটি মার্লিন হেলিকপ্টারও মোতায়েন করতে চলেছে ঋষি সুনাকের দেশ। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট ঘোষণা করেছে, ইরান বা রাশিয়ার মতো দেশগুলো যাতে লেবাননের হিজবুল্লাহকে অস্ত্র সহায়তা দিতে না পারে তা নিশ্চিত করা হবে।
সাইপ্রাসের আকটরিরির আরএএফ ঘাঁটিতে যোদ্ধা ও বিমানবাহিনী সতর্ক অবস্থা থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের বিমান হামলায় শত শত বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। এমন বাস্তবতায় গাজায় ফিলিস্তিনির মৃত্যুর সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে। কিন্তু বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এ জন্য ফিলিস্তিনিদের দুষছেন। তিনি বলেন, হামাসের ‘সন্ত্রাসী’ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার নিরীহ নিহত মানুষের কাছে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া তার লক্ষ্য। শুধু বৃটেনই নয়, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সসহ আরও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সরকারপ্রধান এই ঘটনায় ইসরাইলকে সর্বাত্মক সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছেন।