একাত্তর, মোহনা টিভি ও ভোরের কাগজের কার্যালয় লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করা হয়।
প্রতিবেদক:
হরতালের আগের দিন শনিবার রাজধানীর কয়েকটি গণমাধ্যম কার্যালয় লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করেছে দুর্বৃত্তরা
।
ফাইল ছবি।
সন্ধ্যায় বারিধারায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর-এর কার্যালয়ে বোমা হামলায় আহত হন দু’জন সংবাদকর্মী।
পল্লবীতে মোহনা টেলিভিশনের কার্যালয়ের সামনেও বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
এছাড়া শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়কে (মালিবাগ) কর্ণফুলী মিডিয়া পয়েন্ট নামে ভবনের সামনে হাতবোমা ছোড়া হয়।
ওই ভবনে ভোরের কাগজ, দেশ টিভি ও দিনের শেষে নামে তিনটি গণমাধ্যমের প্রধান কার্যালয়।
এর আগে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, বিচারপতিদের বাসভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ হলেও এবার গণমাধ্যমের কার্যালয় টার্গেট করা হলো।
একাত্তর টেলিভিশনের চিফ অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর মনির হোসেন জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৩৫মিনিটের দিকে বারিধারার সোহওরাওয়ার্দী সড়কে একাত্তর কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন দু’জন সংবাদকর্মী। এ সময় বাইরে থেকে দু’টি হাতবোমা ছুড়ে পালায় দুর্বৃত্তরা। বোমা বিস্ফোরণে একাত্তর-এর সিনিয়র নিউজরুম এডিটর জাকারিয়া বিপ্লব ও ক্যামেরা পারসন আলমগীর কবীর আহত হন। তাদের মধ্যে বিপ্লবের জখম গুরুতর বলে জানা গেছে।
তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হরতাল সমর্থকরা এ হামলা চালান বলে মনে করছে একাত্তর কর্তৃপক্ষ।
সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দৈনিক ভোরের কাগজ-এর কার্যালয় লক্ষ্য করে দু’টি হাতবোমা ছোড়া হয়।
পত্রিকাটির প্রধান প্রতিবেদক আখতারুজ্জামান লাবলু জানান, একটি মোটর সাইকেল থেকে দুই যুবক বোমা ছোড়ে। তবে এগুলো বিস্ফোরিত হয়নি।
এদিকে প্রায় একই সময়ে মিরপুরের পল্লবীতে মোহনা টেলিভিশনের কার্যালয়ের সামনে একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কেউ হতাহত হননি।
গণমাধ্যম কার্যালয় লক্ষ্য করে হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি শাহেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন।