এনআরসি নিয়ে অমিতের সঙ্গে বৈঠকে মমতা
এনআরসি নিয়ে অমিতের সঙ্গে বৈঠকে মমতা
এনআরসি ইস্যুতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে নয়াদিল্লীতে বৈঠকে বসেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাফ জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে নাগরিক-পঞ্জীর (এনআরসি) দরকার নেই। একই সঙ্গে তিনি জানান, আসামে নাগরিক-পঞ্জীর কারণে ১৯ লাখ ভোটার বাদ পড়েছেন।
এর আগে বুধবার নয়াদিল্লীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মমতা। সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পশ্চিমবঙ্গের নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কিছু করার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া বাংলার উন্নতি নিয়ে মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু, সবার চোখ ছিলো নাগরিক-পঞ্জী ইস্যুতে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা তা গোপনই রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে এনআরসির পক্ষে সবচেয়ে সরব ছিলেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবারও সারাদেশে নাগরিক-পঞ্জী চালু করে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন এই বিজেপি নেতা। তিনি তার বক্তব্যে আরও দাবি করেন, ভারতের জনগণ ইতিমধ্যেই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে রায় দিয়ে দেশব্যাপী এনআরসি বাস্তবায়নের পক্ষে রায় দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার অমিত শাহ’র সঙ্গে এনআরসি বিষয়ে কথা বলতে বৈঠকে বসেন মমতা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তিনি(অমিত শাহ) পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালুর বিষয়ে কিছু বলেন নি। তবে আমি ইতিমধ্যে আমার অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়ে বলেছি, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসির কোন দরকার নেই।’
বৈঠকের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি অফিসিয়াল চিঠি পাঠিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। চিঠির ব্যাপারে সংবাদসংস্থা এএনআই কে মমতা বলেন, ‘আমি তাকে (অমিত শাহকে) একটি চিঠি দিয়েছি। এতে আমি তাকে বলেছি, এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ লোকের মধ্যে অনেকেই হিন্দিভাষী, বাংলাভাষী ও আসামের স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন। অনেক প্রকৃত ভোটার বাদ পড়েছেন তালিকা থেকে। এদিকে নজর দেওয়া উচিত উল্লেখ করে আমি একটি অফিসিয়াল চিঠি জমা দিয়েছি।’