এটা শুধু পদযাত্রা নয়, এটা জয় যাত্রা, বিজয়ের যাত্রা: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটা শুধু পদযাত্রা নয়, এটা জয় যাত্রা, বিজয়ের যাত্রা। এটা অধিকার আদায়ের বিজয়ের লক্ষ্য নির্ধারণের যাত্রা। মঙ্গলবার সকালে রাজধানী গাবতলী থেকে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা শুরুর আগে সংক্ষপ্তি সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।ফখরুল বলেন, শুধু বিএনপি নয়, ৩৬ রাজনৈতিক দল একযোগে ঘোষণা দিয়েছে, এই সরকারকে আর চায় না। তিনি বলেন, তারা নির্বাচন করতে চায়। কোন নির্বাচন। দফা ঘোষণা করেছি, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন করবো না। আমরা পরিষ্কার বলেছি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গতকাল নির্বাচনের নামে তামাশা করেছে। আওয়ামী লীগের হাইব্রিড প্রার্থী ছিলো। প্রতিদ্বন্দ্বী কে হিরো আলম। ভোটাদেরকে নিতেই পারে নাই। ভোট কেন্দ্র খালি। নির্বাচন কমিশনের মতে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ৫ ঘণ্টা পরে একজন ভোটার গিয়েছে। তাকে নিয়ে লাফালাফি। আর হিরো আলম কোন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নন। তাকে গতকাল পিটিয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ বলছেন, আমরা আমাদের কাজ করেছি। আর ইসি বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এগুলো তামাশা করে কোন লাভ হবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতাসীনরা কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভর হয়ে পড়েছে। এরা কারা? এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। আর সরকার বিশ্বের সামনে ব্যবসায়ীদের লজ্জিত করেছেন। আমাকে একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, তাদেরকে চাপ দিয়ে করেছেন। চাপ দিয়ে কেনো করবে। সেখানে যদি গোপন ভোট হতো তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হেরে যেতেন। আর দেশের ৯০ শতাংশ ব্যবসায়ী এই সরকারকে চায় না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, জয়নুল আবেদিন ফারুক, মীর সরফত আলী সপু, নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বিএনপি ঘোষিত এই পদযাত্রা গাবতলী, টেকনিক্যাল মোড়, মিরপুর (১), মিরপুর (১০) গোল চত্ত্বর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা (আগারগাঁও), বিজয় স্মরণী, কাওরান বাজার, এফডিসি, মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, নয়াপল্টন (পার্টি অফিস), ফকিরাপুল, মতিঝিল (শাপলা চত্ত্বর), ইত্তেফাক মোড় এবং দয়াগঞ্জ হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড়ে গিয়ে শেষ হবে।