একাত্তর টিভির সিডি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে আদালত
আইনের শাসনের প্রতি যাদের সম্মান নেই তাদের সাথে সন্ত্রাসীদের কোন পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। একাত্তর টেলিভিশনের আদালত অবমাননার বিষয়ে শুনানি কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
একই সঙ্গে একাত্তর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত টকশো’র জমা দেয়া অডিও টেপ ও ভিডিও সিডি এবং অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
অবশ্য কখন এ বিষয়ে আদেশ বা সিদ্ধান্ত দেয়া হবে আপিল বিভাগের আদেশে সুনির্দিষ্ট দিন উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে একাত্তর টেলিভিশনের ‘একাত্তর জার্নালে’ সম্প্রচারিত টকশো’র ভিডিও সিডি এবং সেখানে শোনানো দুই বিচারকের কথিত কথোপকথনের অডিও টেপ গত রোববার আদালতে জমা দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর চূড়ান্ত রায়ের আগে বিচারকদের ভূমিকা নিয়ে গত ১৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠে স্বদেশ রায়ের লেখা একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
‘সাকার পরিবারের তৎপরতা: পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে ওই লেখায় আদালত অবমাননা হওয়ায় গত ১৩ অগাস্ট জনকণ্ঠ সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ এবং নিবন্ধের লেখক স্বদেশ রায়কে সাজা দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
রায়ের আগে আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির সময় জনকণ্ঠের আইনজীবী একটি অডিও রেকর্ডের শ্রুতিলিখন উপস্থাপন শুরু করেন, যা বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধ মামলা এবং মওদুদ আহমদের বাড়ি নিয়ে মামলার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্য এক বিচারকের কথোপকথন বলে আইনজীবীর দাবি।
একাত্তর টেলিভিশন ১০ অগাস্ট অবমাননা মামলা নিয়ে তাদের প্রতিবেদনে ওই অডিও টেপ সম্প্রচার করে। রাতে তাদের সংবাদ বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান ‘একাত্তর জার্নালে’ ওই টেপের বিষয়ে আলোচনাও হয়।
ওই অনুষ্ঠান নজরে আসায় পরদিন আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলামের মতামত শোনে। এরপর একাত্তর টেলিভিশনকে ১৬ অগাস্টের মধ্যে ভিডিও ও অডিও টেপ জমা দিতে বলা হয়।