একদলীয় শাসন কায়েমে শক্তি প্রয়োগ করছে সরকার

একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমে সরকার শক্তি প্রয়োগ করছে অভিযোগ করে বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্যই সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বিরোধী দলীয় প্রার্থীতা ঠেকাতে গণগ্রেফতার ও দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের নির্বাচন প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মিয়ানমারে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। সামরিক জান্তা প্রত্যাখ্যান করেছে সে দেশের জনগণ। বাংলাদেশে বর্তমানে সামরিক শাসনের চেয়ে ভয়ানক শাসন ব্যবস্থা চলছে। মানুষ এই সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা থেন সেইনের মতো বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারও উপলব্ধি করবে গণতন্ত্রই হচ্ছে সব সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ। মিয়ানমারের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা আশা করি, আমাদের দেশেও একটি নির্বাচন হবে এবং গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।

স্থানীয় নির্বাচন বিল সংসদে উত্থাপিত হওয়ায় এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এই সরকারের আমলে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তার প্রমাণ ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন।

সরকারের দমন নিপীড়নের সুযোগ নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গণগ্রেফতারের নামে বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির মুখপাত্র।

তিনি বলেন, বিরোধীদের নির্বাচনে ঠেকাতে গণগ্রেফতারের পথ বেছে নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্তা কায়েম করতে চায়। আর তাই সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে।

পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যদি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করতে পারে তাহলে বিএনপি বিবেচনা করে দেখতে পারে।

তিনি বলেন, সারা দেশে অব্যাহত গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।

এসময় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও আসাদুল করিম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।