একতরফা নির্বাচনে যাবে না জাপা : এরশাদ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, যথাসময়ে নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। কোনো একতরফা নির্বাচনে জাপা অংশ নেবে না।
শুক্রবার হবিগঞ্জ নিউফিল্ডে জেলা জাপা আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণদানকালে তিনি বলেন, দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পালা বদলের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। বড় দুই দলের কবল থেকে মুক্তি পেতে হলে জাপা ছাড়া বিকল্প নেই ।
এরশাদ বলেন, সরকার তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা দেবে না, এর জন্য তারাই আন্দোলন করেছিল। এ ব্যবস্থায় নির্বাচন করলে তারা নিশ্চিত পরাজিত হবে। তিনি ইসলাম ও জনগণের খেদমত করার জন্য আরেকবার জাতীয় পার্টিকে সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন নির্বাচন পদ্ধতি ঘোষণা করেছি। এ পদ্ধতিতে ভোটাররা কোনো প্রার্থীকে নয়, দলীয় প্রতীক দেখে ভোট দেবে। এতে যোগ্য প্রার্থীরা নির্বাচিত হতে পারবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতি করেছিলাম। এখন হয়েছে দলীয়করণ, দুর্নীতির উন্নয়ন। দলীয় লোক ছাড়া চাকরি হয় না। বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে।’
গ্রমীণ ব্যাংক সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন লুটপাট হবে। আমি যমুনা সেতুসহ ৫০৮টি সেতু নির্মাণ করেছি। কোনো দুর্নীতি হয়নি। দৃশ্যত আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কালো বিড়াল এখন দফতরবিহীন মন্ত্রী। সুন্দর বাংলাদেশ এখন অসুন্দর হয়ে গেছে।
হবিগঞ্জ জেলা জাপা সভাপতি আলহাজ আতিকুর রহমান আতিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ, জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, সাবেক মন্ত্রী জিয়াউদ্দিন বাবলু, ব্রি. জে. (অব.) মাহমুদ হাসান, নবাব আলী আব্বাস এমপি প্রমুখ।
হেফাজতে ইসলামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদ্রাসার ছাত্ররা জায়নামাজ ও তসবিহ নিয়ে গিয়েছিল ইসলাম রক্ষা করতে। অথচ পুলিশ দিয়ে ঘেরাও করে দেড় লাখ রাউন্ড গুলি করা হলো। প্রতিবাদকারী কতজন মারা গেছেন কেউ তা জানে না। সরকার চলে গেলে জানা যাবে কতজন মারা গেছে।
সভায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল করে এসে জাপা নেতাকর্মীরা যোগ দেয়।
–