এইচআইভি প্রতিরোধে সহায়ক ভিটামিন ডি
এইচআইভি প্রতিরোধে সহায়ক ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যা এইচআইভি/এইডস এর বিরুদ্ধে লড়তে কার্যকর ভূমিকা পালনে সক্ষম হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা।
নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চমাত্রায় সম্পূরক ভিটামিন ডি গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ডি’র অভাব পূরণ করা সম্ভব। এর মাধ্যমে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থারও উন্নতি ঘটানো যায়।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, “এইচআইভি’র ঝুঁকি কমাতে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে রোগের বিস্তার রোধে ভিটামিন ডি একটি সহজ ও কার্যকর পন্থা হতে পারে।”
গবেষকরা দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন শহরের দু’টি আদিবাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, উচ্চমাত্রার সম্পূরক ভিটামিন ডি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
“বিশ্বের বিভিন্ন শহরের মধ্যে কেপটাউনে তরুণদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। এ কারণে এ ধরনের গবেষণার জন্য আমরা এই শহরটি বেছে নিয়েছি।”
গবেষণায় দেখা গেছে, উভয় গোষ্ঠীর মানুষই শীতের সময় ভিটামিন ডি এর অভাবে ভোগে। আর গড়ে পুরুষদের তুলনায় নারীদের দেহে ভিটামিন ডি’র অভাব বেশি দেখা যায়।
ভিটামিন ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। গবেষকরা একটি দলকে ছয় সপ্তাহ ধরে সম্পূরক ভিটামিন ডি দেন। ফলাফলে দেখা যায়, তাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ হয়েছে।
খাদ্যাভ্যাস, জিনগত কারণ বা অন্যান্য বিষয়গুলো শরীরে ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণে খুব কমই ভূমিকা পালন করে বলে দাবি গবেষকদের।
ভিটামিন ডি কিভাবে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে এইচআইভি’র বিরুদ্ধে লড়তে তা দেখানোর জন্য গবেষকরা শীত ও গ্রীষ্ম উভয় মৌসুমে সম্পূরক ভিটামিন ডি দেয়ার আগে ও পরে অংশগ্রহণকারীদের রক্তের নমূনা সংগ্রহ করেন।
সেখানে দেখা যায়, নয় দিন পর শীতকালে সংগ্রহ করা রক্ত গ্রীষ্মকালে সংগ্রহ করা রক্তের তুলনায় দ্রুত সংক্রমিত হয়েছে।
ছয় সপ্তাহ সম্পূরক ভিটামিন ডি গ্রহণ করার পর, গ্রীষ্মকালে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যে পর্যায়ে থাকে শীতকালেও একই ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা বজায় থাকতে দেখা গেছে।