উলঙ্গ বিয়ে এবং বেরসিক পুলিশ
তারা বিয়ে করতে এসেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো শহরের সিটি হলে। বিয়ে পড়াচ্ছেন গির্জার এক পাদ্রি। কিন্তু বর বা বধূ দুজনই ন্যাংটা। আর এ কারণেই বিয়ে পড়ানো শেষ হতে না হতেই তাদেরকে আটক করে বেরসিক পুলিশ।
নতুন জামাইর নাম জেমিজ স্মিথ। বয়স ২০য়ের কোঠায়। কিন্তু তার পরনে একখানা সুতোও নেই। পাগড়ি, শেরোয়ানি এসব তো দূরের কথা। সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়েই বিয়ে করতে এসেছেন তিনি।৪৪ বছরের নববধূ জিপসি টাউবের অবস্থাও তথৈবৈচ।মাথায় একখানা রুমাল থাকলেও তাকে উলঙ্গই বলা চলে।এ বিয়েতে অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সান ফ্রান্সিসকো শহরের শেরিফের সহকারীরাও। সান ফ্রান্সিসকো শহরে সম্প্রতি নগ্নতা বিরোধি আইন করার প্রতিবাদে এই অদ্ভূত বিয়ের আয়োজন করেন তারা।
বিয়ের অনুষ্ঠানে নগ্নতা অধিকার বিষয়ক আন্দোলনের নেত্রী জিপসি টাউব বলেন, ‘আমরা নগ্নতা বিরোধী আইনের প্রতিবাদ জানাতে এভাবে নগ্ন হয়ে বিয়ে করতে এসেছি। আমরা জানি এ শহরের লোকজন আমাদের পক্ষে রয়েছেন।’
বিয়ে পড়ানো শেষে পাদ্রি তাদের স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করে তাদেরকে চুমু খেতে বলেন। কিন্তু নবদম্পতি সঙ্গে সঙ্গেই সিটি হল থেকে রাস্তায় বেরিয়ে এসে আনন্দ উদযাপনে মেতে ওঠেন।
কিন্তু খুব বেশিক্ষণ আনন্দ করেনি সুযোগ মেলেনি তাদের। বেরসিক পুলিশ এসে কম্বলে মুড়িয়ে তাদেরকে আটক করে জেলহাজতে নিয়ে যায়। পরে অবশ্য এ নবদম্পতিকে ছেড়ে দেয়া হয়।
২০১২ সালে সানফ্রান্সিসকোর রাস্তায় নগ্ন হয়ে চলাফেরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদালত। এ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শহরের নগ্নতাবাদীরা।