‘উপার্জনক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তিকে করের আওতায় আনা হবে’
‘উপার্জনক্ষম প্রত্যেক ব্যক্তিকে করের আওতায় আনা হবে’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, উপার্জনক্ষম সব ব্যক্তিকে করের আওতায় নিয়ে আসা হবে। একইসঙ্গে প্রতিটি বাড়ির মালিকের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হবে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইন্সস্টিটিউট (পিআরই) আয়োজিত ‘সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আলোকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ বাস করে। এর মধ্যে মাত্র ১১ লাখ লোকের কর দেয়ার বিষয়টি লজ্জাজনক ও অপ্রত্যাশিত। দেশের উপার্জন যোগ্য সব মানুষকে করের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, সব চাকরিজীবীদের বেতনের ওপর কর নির্ধারণ করা হবে। করের হার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে প্রত্যেক মানুষকে করের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অডিট অনুযায়ী দেশে প্রায় ৪০ লাখ বাড়ি রয়েছে; যার মালিকরা কর দিতে সক্ষম। তবে দেশে করদাতার হার মাত্র ১১ লাখ। প্রত্যেক বাড়ির মালিককে করের আওতায় নিয়ে আসতে এনবিআরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কর না দিয়ে কেউ পার পাবেন না।
গত ছয়টি বাজেটে করনীতি ছিল গতানুগতিক- এমন মন্তব্য করে মুহিত বলেন, এবার এ নীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এবারের বাজেটে উৎসে করকে গুরুত্ব দেয়া হবে। পরোক্ষ করের পরিবর্তে প্রত্যক্ষ করকে রাজস্ব আহরণের প্রধান মাধ্যম করা হবে। করের জন্য বিভিন্ন স্তর তৈরি করে প্রত্যেক মানুষকে এর আওতায় নিয়ে আসা হবে।
পিআরই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এমসিসিআই) সভাপতি নাসিম মনসুর, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. ফরাস উদ্দিন আহমেদ, সেন্টর ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান আনিস এ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই’র ভাইস চেয়ারম্যান সিদ্দিক আহমেদ ও নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর।