উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন রণতরী যৌথ মহড়ায় প্রস্তুত কাতার
উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন রণতরী যৌথ মহড়ায় প্রস্তুত কাতার
যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে কাতা। এ খবর দিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম রাশিয়া টুডে। মহড়ার উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে দুই মার্কিন রণতরী উপসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছেছে। মধ্যপ্রাচ্য কূটনৈতিক সঙ্কট শুরুর পর প্রথমবারের মতো এমন সামরিক মহড়া শুরু হচ্ছে।
সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ। কয়েক দিন পর ডোনাল্ড ট্রাম্প একে মধ্যপ্রাচ্য কূটনীতিতে তার সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন। এক টুইটার বার্তায় কাতারকে সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। বুধবার রাশিয়া টুডেকে দেয়া এক সাাৎকারে ওয়াশিংটন-দোহা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘অনেক পুরনো ও বন্ধুত্বপূর্ণ’ আখ্যান দেন কাতারের প্রতিরামন্ত্রী খালিদ বিন মোহাম্মদ আল আতিয়াহ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট সবসময় আনুষ্ঠানিক নয় বলেও দাবি করেন তিনি।
খালিদ দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র কাতারের আল উদাই বিমান ঘাঁটির বিকল্প খুঁজবে না। ২০১৪ সালে সম্পাদিত দুই দেশের অস্ত্রচুক্তি আরো মজবুত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। কিন্তু এই বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা ছিল না এবং আমরা খুবই অবাক হয়ছি।’
এই নিষেধাজ্ঞা পেছন থেকে ছুরিকাঘাতের মতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘রিয়াদে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে কাতার আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয়া হয়েছিল। এরপরে এমন ঘটনা মেনে নেয়া যায় না।’
দোহার দক্ষিণ গালফ উপসাগরীয় অঞ্চলে য্ক্তুরাষ্ট্র ও কাতারের ৯টিরও বেশি সামরিক ইউনিট থাকার কথা রয়েছে। বুধবার হামাদে দু’টি মার্কিন রণতরী এসে গেছে।