ঈশ্বরদী ছাত্রলীগের নতুন কমিটি, পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ
ঈশ্বরদী ছাত্রলীগের নতুন কমিটি, পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ
কমিটি ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে ফিরোজ আলী বলেন, দীর্ঘদিন কমিটির মেয়াদ পার হওয়ায় ঈশ্বরদী ছাত্রলীগের গতি কমে গিয়েছিল। নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছিল না। ফলে আগের কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে কমিটির মেয়াদ এক বছর উল্লেখ করা হয়। মল্লিক মিলন মাহমুদকে সভাপতি ও খন্দকার আরমানকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা ছাত্রলীগের এবং আবির হোসেনকে সভাপতি ও মারুফ হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। খন্দকার আরমান ঈশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিটি ঘোষণার খবর উপজেলা সদরে ছড়িয়ে পড়তেই পদবঞ্চিত নেতারা ক্ষুব্ধ হন। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁরা উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
মিছিলে ৫০ থেকে ৬০ জন নেতা-কর্মীকে অংশ নিতে দেখা গেছে। উপজেলা সদরের স্টেশন রোড থেকে মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রলীগ নেতা আশিক হায়দার, নাহিদ ইসলাম ও রাতুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মীকে কিছু না জানিয়ে রাতের আঁধারে এই ‘পকেট কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যা আদর্শবিরোধী ও অবৈধ। এতে সংগঠনের সুনাম নষ্টের পাশাপাশি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়বে। অবিলম্বে এ কমিটি বাতিল করে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান তাঁরা।
নূরুল ইসলাম নবগঠিত কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ উল্লেখ করে দ্রুত কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের পাশাপাশি নতুন কমিটিকে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, সাংগঠনিক নিয়ম মেনে ও নেতা-কর্মীদের পরামর্শ মোতাবেক আংশিক কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। কমিটিতে যাঁরা আছেন, তাঁরা সংগঠনের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা। এখানে প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই। এ কমিটি নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে সেটা বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা হবে। তাঁদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি মল্লিক মিলন মাহমুদ মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন আদর্শ ধরে রেখে ছাত্রলীগের রাজনীতি করছি। এ আদর্শ ঠিক রেখেই ছাত্রলীগকে গতিশীল করতে কাজ করে যাব।’ পৌর ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি আবির হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ায় পৌর ছাত্রলীগ নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়েছিল। তাঁদের ওপর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা মনোযোগসহকারে পালন করবেন তিনি। এখানে বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করা ন্যায়সংগত না বলে তিনি মনে করেন।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৪ জানুয়ারি উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি হয়। সেই কমিটির মেয়াদ ছিল দুই বছর।