ইসরাইলকে কড়া ভাষায় সাবধান করলো রাশিয়া
খবরে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রথমবারের মতো ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয়ার ইঙ্গিত দেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। পশ্চিমা সকল দেশই ইউক্রেনে অব্যাহতভাবে অস্ত্র পাঠিয়ে চলেছে। তবে এর ব্যতিক্রম ছিল ইসরাইল। তারা রুশ অভিযানের সমালোচনা করলেও ইউক্রেনকে সহায়তা করতে ছিল নারাজ। কিন্তু এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে বলেই জানান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইউক্রনকে ইসরাইলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম দেয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
এর জবাবে জাখারোভা বলেন, যেসব দেশ ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে তাদের জেনে রাখা উচিৎ যে-এগুলো রাশিয়ার বৈধ টার্গেটে পরিণত হবে। ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র দেয়ার অর্থ হচ্ছে এই সংকটকে আরও দীর্ঘায়িত করা। সকলের বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন।
নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝখানে ১৮ মাস তিনি ক্ষমতার বাইরে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়, যা গত এক বছর ধরে চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধ আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে যাচ্ছে দ্রুতই। রাশিয়া যেমন হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করছে, ইউক্রেনেরও তেমনি পশ্চিমা সাহায্য দরকার পড়ছে। পশ্চিমা মিত্ররা দেশটিকে ব্যাপক অস্ত্র পাঠিয়ে চলেছে। তবে ইসরাইল এ ইস্যুতে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে চলছিল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মাসের পর মাস ধরে ইসরাইলের কাছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চেয়ে আসছে। তবে এই প্রযুক্তি রাশিয়ার হাতে পড়তে পারে সেই আশঙ্কা থেকে ইউক্রেনকে আয়রন ডোম দেয়া থেকে বিরত ছিল ইসরাইল। রাশিয়াও হুমকি দিয়েছিল যে, ইসরাইল যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র দিতে শুরু করে তাহলে তা রাশিয়া-ইসরাইল সম্পর্ককে নষ্ট করে দেবে।