ইশতিয়াক আহমেদের সিনেমা হলের গলি
ইশতিয়াক গান লিখছেন নিয়মিত, পাশাপাশি নাটক, মিউজিক ভিডিও ও ডকুমেন্টারী নির্মানও চলছে। কিন্তু এর বাইরে শব্দের সাথে হরদম চাষাবাদ আর তাতে ফুল ফোটানোর কাজটি করছেন একেবারে নিজের আনন্দ মনে। সেই আনন্দ আহরণের শব্দচাষী এ সময়ের তরুণ পাঠক পাড়ায় এখন জনপ্রিয় এক নাম। প্রতি মেলায় একটি করেই উপন্যাস লিখছেন ইশতিয়াক। নিজের গদ্য প্রসঙ্গে লেখকের কথায়, ‘আমি আসলে নিজের গল্পটা শোনানোর জন্য লিখি। মাথার ভেতরে চারপাশ থেকে দেখা এবং আমার কল্পনাপ্রসূত গল্পগুলোই আমার একেকটি গ্রন্থ আকারে প্রকাশ পায়।
এবারের মেলায় দেশ পাবলিকেশন্স এর ব্যানারে প্রকাশ পেয়েছে তার নতুন উপন্যাস ‘সিনেমা হলের গলি’। বইটি প্রসঙ্গে লেখক বলেন, ‘এদেশের হাজারো গলির মতোই এটি। মূল নাম হয়তো অন্যকিছু ছিলো। কিন্তু আমরা চিনি সিনেমা হলের গলি হিসেবে। গলির মোড়ের সিনেমা হলে অনেক গল্পে নির্মিত সিনেমা আসে। কোনওটা এক সপ্তাহ প্রদর্শিত হয়, কোনওটা বা দুই। বিশাল পর্দায় প্রদর্শিত সেইসব সিনেমার গল্প দেখার আকাঙ্খা নিয়ে হাজারো দর্শক আসেন। দেখা শেষে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চলে যান। কিন্তু কারও জানা হয়না নির্মাণের অভাবে এই গলির ভেতরেই তারা ফেলে যাচ্ছেন কিছু গল্প। হয়তো আহামরি কোনও গল্প না। হয়তো সেলুলয়েডের রুপালি পর্দায় ঝকঝকে না সেই গল্পগুলো। কিন্তু জীবনের গল্প।’
এসব কিছু গল্প মিলিয়ে এই উপন্যাস। এটি ইশতিয়াক আহমেদের অস্টম বই। উপন্যাস হিসেবে চতুর্থ।