ইরানের পারমাণবিক সমঝোতা কি ভেস্তে গেল
এ অঞ্চলের রাজনীতির জন্য ওই চুক্তিটি উত্তেজনা হ্রাসে সহায়ক হওয়ার কথা। ওবামা প্রশাসনের ওপর ইসরাইলি প্রশাসনের প্রচণ্ড ‘চাপ’ থাকা সত্ত্বেও ওবামা প্রশাসন এ ধরনের শর্তে রাজি হয়েছিল। তাই আলোচনায় বাকি বৃহৎ শক্তিগুলোও রাজি হয়েছিল। ওবামার জন্য একটি প্লাস পয়েন্ট ছিল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট কার্টার এবং প্রায় ১০০ সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত কর্তৃক তার প্রতি সমর্থন প্রকাশ। কংগ্রেস সদস্যদের বিরোধিতার মুখে ওবামা এটাও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, কংগ্রেস যদি এ সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তিনি ‘ভেটো’ দেবেন। অর্থাৎ তিনি চান কংগ্রেস এ চুক্তি অনুমোদন করুক। ইরানের ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে এ সমঝোতা এখন প্রশ্নের মুখে।
ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে গেল বটে। কিন্তু নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ও মানবাধিকার সম্পর্কিত অবরোধ উঠছে না। ইরানের অবস্থা অনেকটা ফাঁদে পড়ার মতো। ইরান পুরোপুরিভাবে ‘মুক্ত’ হচ্ছে না। নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান সম্পর্ক এখন প্রশ্নের মুখে থাকলেও বলতে দ্বিধা নেই, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি উঠে গেলে ইরান এ অঞ্চলে অন্যতম একটি শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে, যা ইসরাইল ও সৌদি আরব কারোই পছন্দ নয়। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে অন্যতম ফ্যাক্টর হচ্ছে ইসরাইল। পারমাণবিক চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মন্তব্য করেছিলেন, ‘এটা একটা ঐতিহাসিক ভুল।’ ইসরাইলের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ চুক্তির কোনো কোনো ধারা নিয়ে সমালোচনাও করেছেন। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এ চুক্তির প্রশংসা করলেও এবং ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এ চুক্তির মধ্য দিয়ে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে এখন দ্রুত বদলে যাচ্ছে দৃশ্যপট। এখানে একটা কথা বলা প্রয়োজন। ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে, এ অভিযোগ ওঠার পর ২০০৬ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি বাতিল করার দাবি সংবলিত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এরপর অন্তত এ সংক্রান্ত আরও ৬টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে এবং ইরান ওই কর্মসূচি বাতিল না করায় ২০১০ সালে জাতিসংঘ ইরানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক মালিকানার সম্পদ জব্দসহ দেশটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবরোধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে ২০০৬ সাল থেকেই ইরানের সঙ্গে ৬ জাতি (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানি) আলোচনা চলে আসছিল। কিন্তু তাতে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছিল না। ২০১৩ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত হাসান রুহানি বিজয়ী হলে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষ্য করা যায়। ফলে এ ৬ জাতি আলোচনা আরও গতি পায়। ২০১৪ সালের নভেম্বরে একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় এবং এপ্রিলে (২০১৫) সুইজারল্যান্ডের লুজানে ইরান ও ৬ জাতি একটি খসড়া চুক্তিতে উপনীত হয়। ওই বছরের ৩০ জুনের মধ্যে এ খসড়া চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। জুলাই (২০১৫) মাসে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়।
এ চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে অন্তত একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছিল- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক বৃদ্ধির একটি সম্ভাবনা। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এ সম্পর্ক আরও উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ, প্রশাসন, সেনাবাহিনীতে এখনও ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের পর রেভ্যুলেশনারি স্টুডেন্টস কর্তৃক তেহরানের মার্কিন দূতাবাস দীর্ঘ ৪৪৪ দিন দখল করে নেয়ার ঘটনার স্মৃতি একটি ‘ক্ষতচিহ্ন’ হিসেবে রয়ে গেছে। ফলে সম্পর্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনাটা অত সহজ ছিল না। এরপর যোগ হয় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। ওই ঘটনার দীর্ঘ ৩৬ বছর পর মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি এ দেশ দুটিকে আরও কাছাকাছি নিয়ে এসেছিল। এর ফল স্বরূপই এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরাইলের আপত্তি সত্ত্বেও। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিস্টরা মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে, বিশেষ করে ইরাক-সিরিয়ায় জঙ্গিবাদী ইসলামিক স্টেটের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে হলে তাদের ইরানের সমর্থনের প্রয়োজন রয়েছে। অনেকের স্মরণ থাকার কথা, গেল নভেম্বরে (২০১৪) বারাক ওবামা স্বীকার করেছিলেন তিনি গোপনে ইরানি সমর্থন চেয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। প্রত্যুত্তরে খামেনিও তাকে গোপনে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আইএস (ইসলামিক স্টেট) জঙ্গিদের ঠেকাতে ওবামা খামেনির সমর্থন চেয়েছিলেন। পরে ইয়েমেনে ‘হুথি বিদ্রোহ’ প্রমাণ করল এখানেও একটি স্থিতিশীল সরকার গঠনে ইরানের সমর্থন প্রয়োজন রয়েছে। কারণ হুথিরা শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত এবং অভিযোগ আছে, হুথি বিদ্রোহীরা ইরান থেকে আর্থিক ও সামরিক সাহায্য পেয়ে থাকে, যদিও ইরান বারবার তা অস্বীকার করে আসছে।
‘ইরান চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হওয়ায় সৌদি আরবের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক আরও স্বাভাবিক হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটাই চাইছিল। একটি সৌদি-ইরান জোট পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের রাজনীতিতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে, এটা মনে করেন অনেক মার্কিন গবেষক। কারণ ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহে সেখানে সরকারের পতন ঘটে এবং প্রেসিডেন্ট দেশত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর মার্চে সৌদি বিমান হুথি বিদ্রোহী ঘাঁটিতে বোমা হামলা চালালেও সেখানে স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। এরই মধ্যে সৌদি আরবে শিয়া নেতা নিমর আল নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় সৌদি-ইরান সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এ দেশ দুটির মধ্যে আস্থাহীনতার সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে। উপরন্তু সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট গঠিত হওয়ায় ইরান এটাকে ভালোভাবে নেয়নি। নতুন করে শিয়া-সুন্নি বিতর্কটি সামনে চলে এসেছে আবার। এরই মাঝে নতুন করে যোগ হল ইরানের ওপর নয়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি।
এখন নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তা লক্ষ্য করার বিষয়। সিরিয়া সংকট সমাধানে ইরানের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে। জুনে সিরিয়ায় একটি সর্বদলীয় সরকার গঠিত হওয়ার কথা এবং আগামী বছর সেখানে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের যদি আরও অবনতি ঘটে, তাহলে তা সিরিয়ার ঘটনাবলীতেও প্রভাব ফেলবে। চলতি জানুয়ারিতেই জেনেভায় সিরিয়া নিয়ে একটি বহুদলীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। ওই আলোচনায় ইরান ও সৌদি আরবও অংশ নেবে। এখন নতুন করে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় তা সামগ্রিকভাবে আলোচনায় একটা অচলাবস্থা এনে দিতে পারে। এটা সবাই জানে, ইরান সিরিয়ার আসাদ সরকারকে সমর্থন করছে। আর ইরান পাশে পেয়েছে রাশিয়ার মতো বড় একটি শক্তিকে। ফলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতিতে সিরিয়ায় শান্তি প্রক্রিয়া বিঘিœত হবে। দীর্ঘ প্রায় ৩৬ বছর ইরান আন্তর্জাতিক আসরে একা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণে ইরান বিশ্বে একা হয়ে গিয়েছিল। ইরানের বৈদেশিক আয়ের বড় উৎস পেট্রোলিয়াম সেক্টরে কোনো বিনিয়োগ আসছিল না। এমনকি ইরান তেল রফতানিও করতে পারছিল না। এজন্যই ইরানিদের প্রয়োজন ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের। কট্টর শিয়া ধর্মীয় ভাবধারায় বিশ্বাসী ইরানি ধর্মীয় নেতারা যে এটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন- সেটাই হচ্ছে বাস্তববাদী নীতির মূল কথা। ২০১৬ সালে ইরানের পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমার বিশ্বাস, ওই নির্বাচনে রুহানি সমর্থকরা বিজয়ী হবেন। একই সঙ্গে ২০১৭ সালে ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এ নির্বাচনে রুহানির দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হওয়ার পথও প্রশস্ত হবে। তবে কট্টরপন্থীরা সেখানে এখনও তৎপর।
ইসরাইলের বিরোধিতার কারণে মার্কিন কংগ্রেসে এ চুক্তির বিরোধিতা রয়েছে। ২০১৬ সালের নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ ইরান ইস্যু কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ‘সহজ বিজয়ে’ একটা বড় অন্তরায় সৃষ্টি হতে পারে। রিপাবলিকানদের অবস্থান এতে করে শক্তিশালী হয়েছে। যদিও হিলারি ক্লিনটন স্পষ্ট করেই বলেছেন, তিনি কোনো অবস্থাতেই ইরানকে পারমাণবিক বোমা বানাতে দেবেন না। মার্কিনিদের জন্য একটি সুযোগ এসেছে উপসাগরীয় অঞ্চলে এক ধরনের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার। ‘যুদ্ধবাজ’ মার্কিন প্রশাসন যদি এ ‘সম্ভাবনাকে’ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেখানে যুদ্ধ আরও প্রলম্বিত হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর ইরানের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দার্শনিক রামিন জাহানবেগলু (Ramin Jahanbegloo) একটি প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির মেরুকরণে এ মুহূর্তে ইরান একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’ এটাই হচ্ছে মোদ্দাকথা। ইরানকে ছাড়া যে উপসাগর তথা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করা যাবে না, এটা প্রমাণিত হয়েছে। এখন দেখার পালা মার্কিন নীতিতে এ পরিবর্তনটা কীভাবে প্রতিফলিত হয়। অনেকেই স্মরণ করতে পারেন, ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের আগে, অর্থাৎ রেজা শাহ পাহলভীর শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ইরান। ইরানকে সঙ্গে নিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার স্বার্থ নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু সেই দৃশ্যপট বদলে যায় ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর। এখন নতুন আঙ্গিকে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সেই বৃত্তে ফিরে গেলেও সেখানে এখন নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে, যার কারণে নতুন করে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে অনেক বিশ্লেষক স্বীকার করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে কূটনীতিই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়েছে। এর জন্য অনেকেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জাফরিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। এই ‘সফল কূটনীতি’র কারণেই ইরানে দীর্ঘদিন বন্দি অবস্থায় থাকা ৫ জন আমেরিকানকে মুক্ত করতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ ‘সমঝোতা’ এখন ধরে রাখতে হবে এমন মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ইরানিয়ান আমেরিকান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ত্রিতা পারসি ও ফেলো টাইলার কালিস এক যৌথ নিবন্ধে। নিবন্ধটি ছাপা হয়েছে গত ২০ জানুয়ারি হাফিংটন পোস্টের সহযোগী দ্য ওয়ার্ল্ড পোস্টে। তারা তিন পর্যায়ে এ সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এক. যুক্তরাষ্ট্র-ইরান স্ট্র্যাটেজিক সম্পর্ক, দুই. দু’দেশের আইন প্রণেতাদের মাঝে একটি সংলাপ, তিন. সমাজের (দু’দেশের) বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানো। তারা মন্তব্য করেছেন এভাবে : True opportunities to start a dialogue between US and Iran have only appeared once a decade. Opportunities to change the paradigm of relationship may only come once a generation. এটাই হচ্ছে মূল কথা। সুযোগ বারবার আসে না। যে ‘সমঝোতা’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা যেন ভেস্তে না যায়।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
– See more at: http://www.jugantor.com/online/opinion/2016/01/23/2315/%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A3%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%9D%E0%A7%8B%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B2#sthash.Nol6WOmE.dpuf