ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিপ্লব : বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম শক্তি
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র বিপ্লব : বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম শক্তি
বিশ্বের চতুর্থ ক্ষেপণাস্ত্র শক্তিধর দেশ ইরান। ইরানের প্রতিরক্ষা সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসাইন দেকান এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদ সংস্থার খবরে বলা হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্র দিক থেকে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ইরান গ্রহণযোগ্য অবস্থানে রয়েছে বলে উল্লেখ করে হোসাইন দোকান জানান, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের পরেই ইরান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হামলার সম্ভাব্যতা অনুযায়ী ক্ষেপণাস্ত্র পাল্লা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। লক্ষবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্রের নির্ভুল আঘাতের ক্ষমতা বাড়ানো এবং রাডার ফাঁকি দেয়ার ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা ইরান করছে বলেও জানান তিনি। ছয় জাতিগোষ্ঠীর আলোচনায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার তৎপরতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ আলোচনায় কেবলমাত্র পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টিই থাকবে।
ইরাকে ট্রাকবোমা হামলায় নিহত ৩২
এএফপি
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় ‘তুজ খুরমাতু’ শহরে এক শক্তিশালী ট্রাকবোমা হামলায় অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫ জনেরও বেশি।
মঙ্গলবার কিরকুক প্রদেশের শিয়া অধ্যুষিত শহরটির একটি ব্যস্ত মার্কেটে এ হামলা চালানো হয়। শহরের হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, এ হামলায় হতাহতদের বেশির ভাগ বেসামরিক নাগরিক। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
হামলায় নিহতদের মধ্যে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ছয় সদস্য রয়েছেন। কোনো গোষ্ঠী এখনো এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। আইএসের স্বঘোষিত খিলাফতের অবসান হওয়ার পর এ হামলা চালানো হলো। গত শুক্রবার ইরাকের সেনাবাহিনী দেশটির সিরিয়া সীমান্তবর্তী ‘রাওয়া’ শহরে ইরাকের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। ইরাকে এই শহরটি ছিল আইএসের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল।
সৌদি ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা
রয়টার্স
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর মঙ্গলবার তাদের নাগরিকদের সৌদি আরবে সফরের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। দেশটিতে ভ্রমণে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি বিবেচনা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা ও ইয়েমেন থেকে বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর পেণাস্ত্র হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সৌদি আরবে সফরের ওপর এমন সতর্কতা জারি করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই ইয়েমেন থেকে হাউছি বিদ্রোহীরা সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্য করে মিসাইল নিপে করে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র সৌদির তরফ থেকে দাবি করা হয় যে, নির্দিষ্ট ল্েয হামলা চালানোর আগেই তারা ওই পেণাস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।
হাউছি বিদ্রোহীরা বলছে, ইয়েমেনে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সৌদি আরবের বিমান হামলার জবাব দিতেই তারা পেণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে; কিন্তু ওই হামলায় রিয়াদে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী পেণাস্ত্রটিকে প্রতিহত করতে সম হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটের এক সতর্ক বার্তায় স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে বলা হয়েছেÑ রিয়াদ, জেদ্দা, দাহরানসহ সৌদির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা বেড়েই চলেছে। যেকোনো সময় কোনো ইঙ্গিত না দিয়েই এ ধরনের হামলা চালানো হতে পারে। ইসলামিক স্টেটের মতো গোষ্ঠীগুলো সৌদি ও পশ্চিমা দেশগুলোর মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থানে হামলা চালাচ্ছে। তাই যেকোনো স্থানে সফরের েেত্র সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।