পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চকালে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন এক হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

ইমরান খানের ঊর্ধ্বতন সহযোগী রউফ হাসানের বরাতে সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

ইমরান খানের এই সহযোগী আরও জানান, হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম হামলাকারীকে কে গুলি করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পিটিআই নেতা ইমরান ইসমাইল দাবি করেন, ইমরান খানের পায়ে ‘তিন থেকে চারটি’ গুলি করা হয়েছে। তিনি জানান, হামলার সময় তিনি ইমরান খানের পাশেই ছিলেন। এ সময় সিনেটর ফয়সাল জাভেদও আহত হন।

ইমরান ইসমাইল আরও বলেন, হামলাকারী কন্টেইনারের সামনে ছিলেন। একে-৪৭ দিয়ে তিনি গুলি চালিয়েছেন।

ইমরান খানের ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারী। ছবি- ভিডিও থেকে সংগৃহীত

এদিকে পাঞ্জাব পুলিশ বলছে, ইমরান খান ও তার রাজনৈতিক দলের নেতাদের লক্ষ্য করে মোট ছয় রাউন্ড গুলি চালান যুবক। ওই যুবক একাই ওই হামলা চালায় বলেও জানিয়েছে পুলিশ। হামলার ঘটনায় তাকে আর কেউ সাহায্য করেছে কিনা তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে ইমরান খানের ইসলামাবাদ অভিমুখী লংমার্চে হামলার ঘটনা ঘটে। পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এতে ইমরান খানের ডান পায়ে গুলি লাগে। এ হামলায় ইমরান খান ছাড়াও এই হামলায় তার দলের আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম।

প্রসঙ্গত, আগাম নির্বাচনের দাবিতে ‘হাকিকি আজাদি’ আন্দোলন শুরু করেছে ইমরান খানের দল পিটিআই। গত ২৮ অক্টোবর থেকে লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু হয়। ইমরান খান এই লংমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।