ইমরান খানকে হত্যাচেষ্টার কারণ জানালেন হামলাকারী

পুলিশের হাতে আটক ইমরান খানের ওপর সন্দেহভাজন হামলাকারী। ছবি- টুইটার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানকে হত্যার জন্যই তার ওপর হামলা চালিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন পাঞ্জাব পুলিশের হাতে আটক এক সন্দেহভাজন হামলাকারী।
বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরে ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চকালে ইমরান খানের ওপর হামলার পর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সন্দেহভাজন ওই হামলাকারী।
সন্দেহভাজন হামলাকারী জানান, মোটরসাইকেলে করে তিনি ওয়াজিরাবাদে এসেছিলেন। সাইকেলটি তার মামার দোকানে রেখেছিলেন।
ভিডিও ফুটেজটি পুলিশ রেকর্ড করেছে বলে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলজাজিরাকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইমরানের খানের জ্যেষ্ঠ সহযোগী রউফ হাসানের বরাতে আলজাজিরা জানায়, ইমরান খানের ওপর হামলায় জড়িতদের একজন নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সেসময় আরও একজনকে আটক করে দেশটির পুলিশ। তবে প্রথম হামলাকারীকে কে গুলি করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে ইমরান খানের ইসলামাবাদ অভিমুখী লংমার্চে হামলার ঘটনা ঘটে। পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদ শহরে ইমরান খানকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। এতে ইমরান খানের ডান পায়ে গুলি লাগে। এ হামলায় ইমরান খান ছাড়াও এই হামলায় তার দলের আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যম।
পিটিআই নেতা ইমরান ইসমাইল দাবি করেন, ইমরান খানের পায়ে ‘তিন থেকে চারটি’ গুলি করা হয়েছে। তিনি জানান, হামলার সময় তিনি ইমরান খানের পাশেই ছিলেন। এ সময় সিনেটর ফয়সাল জাভেদও আহত হন।
ইমরান ইসমাইল আরও বলেন, হামলাকারী ইমরান খানকে বহনকারী কন্টেইনারের সামনে ছিলেন। একে-৪৭ দিয়ে তিনি গুলি চালিয়েছেন।
পিটিআই প্রধানের সহযোগী রউফ হাসানের দাবি, ইমরান খানকে হত্যার উদ্দেশে হামলা করা হয়েছিল। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমরান খান বর্তমানে শঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, আগাম নির্বাচনের দাবিতে ‘হাকিকি আজাদি’ আন্দোলন শুরু করেছে ইমরান খানের দল পিটিআই। গত ২৮ অক্টোবর থেকে লাহোর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে লংমার্চ শুরু হয়। ইমরান খান এই লংমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। লংমার্চের সপ্তম দিন রাজধানী থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ওয়াজিরাবাদ শহরে ইমরান খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলো।