ইফতারে হয়ে যাক পুরনো ঢাকার “আল রাজ্জাক”-এর বিখ্যাত ফালুদা (রেসিপি)

ঢাকাইয়া পরিবারগুলোতে একসময় প্রচলন ছিল ইরানি আর আর্মেনীয় খাবারের। এবং ক্রমশ সেই খাবার গুলোই হয়ে ওঠে পুরনো ঢাকার “সিগনেচার ডিশ”। স্বাদে অনন্য ও দারুণ সেই খাবারের স্বাদ যেন হারিয়ে না যায় সে চেষ্টা এখনো অনেকের। এর মধ্যে অন্যতম মালিটোলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হোসেন মোল্লা। তিনি ১৯৯৩ সালে বংশালের কাছের নর্থসাউথ রোডে তাঁর নিজস্ব জায়গায় ঢাকাই খাবারের ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য শুরু করেন হোটেল ব্যবসা। বাবার নামে নাম রাখেন হোটেল আল-রাজ্জাক।
আল-রাজ্জাক হোটেলের খাবার গুলোর মাঝে সবচাইতে জনপ্রিয় কোনটা? নিঃসন্দেহে এখানকার গ্লাসি! তবে গ্লাসির মতই এখানকার লাচ্ছি ও ফালুদার জনপ্রিয়তা কম নয় এতটুকু।
বরং অনেকটাই বেশি। কী আছে সেই অসাধারণ ফালুদায়? কীভাবে তৈরি করা হয়? জেনে অবাক হবেন যে দারুণ সুস্বাদু সেই ফালুদায় কোন আইসক্রিম ব্যবহৃত হয় না মোটেও! আসুন,জানি সেই গোপন রেসিপিটি।
বিখ্যাত সেই ফালুদার রেসিপি-
 উপকরণ-
(চার বাটি/গ্লাস ফালুদার জন্য)
নুডলস ৪০০ গ্রাম,
 ৩০০ গ্রাম মালাই,
 সাগুদানা ২৫০ গ্রাম,
 দুধ ১ লিটার
 চিনি পরিমাণ মত,
 ঘন চিনির শিরা- পরিমাণ মত
 রূহ আফজা-পরিমাণ মত (না দিলেও হবে)
 কিশমিশ পরিমাণমতো,
 আনার/ রঙিন জেলী পরিমাণমতো,
 খোরমা পরিমাণমতো,
 আপেল পরিমাণমতো,
 কলা পরিমাণমতো,
 অন্যান্য পছন্দের ফল পরিমাণমতো।
 প্রণালি:
-খাঁটি দুধের মালাই বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। মালাই তৈরির জন্য দেড় কেজি দুধ দেবেন। মাঝারি আঁচে নেড়ে নেড়ে জ্বাল দেবেন। মোটামুটি ৩০০ গ্রাম হয়ে গেলে নামিয়ে নেবেন।
 -সেদ্ধ নুডলস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে, এটা ঝরঝরে থাকবে।
 -সাগুদানা এক লিটার দুধ ও চিনি দিয়ে রান্না করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।
 -চিনির শিরায় রূহ আফজা মিশিয়ে নেবেন। এটা সুন্দর রঙ আসবে।
 -তারপর ফালুদা পরিবেশনের বাটিতে প্রথমে চিনির শিরা ও মালাই দিন। নুডুলস, সাগুদানাসহ সব ধরনের ফল ও খোরমা-কিশমিশ ধাপে ধাপে সাজান। প্রত্যেক ধাপের ফাঁকে ফাঁকে বরফ দিন। পছন্দমত সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
 
 
















