‘ইদানিং শুটিং স্পটে না যাওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুর বিশ্বাস নেই’
‘ইদানিং শুটিং স্পটে না যাওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুর বিশ্বাস নেই’
চলচ্চিত্রের এক সময়ের ব্যস্ত নায়িকা পপি। বেশ কয়েকবছর ধরে বড়পর্দায় তার উপস্থিতি কম দেখা গেলেও জনপ্রিয়তা ঠিকই ধরে রেখেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন। বর্তমানে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে তা প্রচার হচ্ছে। তবে এই প্রচারণা নিয়ে তিনি খুশি নন। পপি এ প্রসঙ্গে মানবজমিনকে বলেন, বেশকিছু অংশ কেটে কেটে এই বিজ্ঞাপনচিত্রটি দেখানো হচ্ছে। কিছু চ্যানেলে অল্প সময়ের জন্য দেখানোর কারণে পণ্যটি অনেকের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে না। সেই সঙ্গে আমাকেও অল্প সময় দেখা যাচ্ছে। সব চ্যানেলে বেশি বেশি প্রচার করা হলে ভালো হতো। পপি আরও বলেন, রোমানিয়া কোম্পানীর বেশকিছু পণ্যে কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। সামনে আরেকটি পণ্যের বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার কথা রয়েছে। খুব শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে বলে জেনেছি। এদিকে বর্তমানে ‘সোনাবন্ধু’ নামের একটি ছবির কাজ করছেন পপি। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে মাহবুবা শাহরীনের ‘হতাই’ উপন্যাস অবলম্বনে এ ছবির শেষভাগের কাজ চলছে। ছবিটিতে তার সহশিল্পী ডিএ তায়েব ও পরীমনি। এ ছবি প্রসঙ্গে পপি বলেন, ছবিটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ভালোই লেগেছে কাজটি করে। এ ছবির বাইরে নতুন একটি ছবিতে কাজের কথা ছিল। জসিম উদ্দিন পরিচালনায় ছবিটির নাম ‘আমেরিকান ড্রিম’। তবে সে ছবিতে পরে নানা কারণে কাজ করা হয়নি। শোনা যাচ্ছে এ ছবির প্রযোজক ও পরিচালক সাইনিং মানি ফেরত না দেয়ার অভিযোগে আপনার নামে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে পপি বলেন, আমাকে বাদ দেবার মতো বড় মাপের পরিচালক তিনি নন। তিনি যদি ভারতের রাম গোপাল ভার্মা বা করণ জোহর হতেন তাহলে একটা কথা ছিল। আমি এ ছবিটি করছি না। আর এ ছবির জন্য কোনো উকিল নোটিশ পাইনি আমি। এসবই মিথ্যে কথা। পপি এবারের ঈদের জন্য নির্মিত একটি টেলিছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে টিভিতে কাজ করতে ভালো লাগে না তার। এ প্রসঙ্গে তিনি মানবজমিনকে বলেন, চট্রগ্রামের বিভিন্ন লোকেশনে উজ্জল মাহবুবের পরিচালনায় একটি টেলিছবিতে অভিনয় করে গতকাল ঢাকা ফিরেছি। এ টেলিছবির নাম এখনও ঠিক করেননি পরিচালক। তবে মোট কথা হচ্ছে, টিভিতে কাজ করতে ইচ্ছে করে না আমার। আিম চলচ্চিত্রের মানুষ। চলচ্চিত্রে কাজ করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আপাতত একটা নতুন ছবির কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। তবে এ ছবি ও পরিচালকের নাম এই মুহূর্তে বলতে চাই না। কারণ ইদানিং শুটিং স্পটে না যাওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুর বিশ্বাস নেই। দেখা যাবে, নাম শোনার পর কম টাকায় নতুন কোনো অভিনেত্রীকে নিয়ে নেয়া হয়েছে। এই রকম অনেক ঘটনা হরহামেশাই হচ্ছে। তাই শুটিং স্পটে গিয়ে ক্যামেরার সামনে দৃশ্যধারণের পর জানাতে চাই। পপি অভিনীত ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’, ‘শর্টকাটে বড়লোক’, ‘দুই ভাইয়ের যুদ্ধ’ ও ‘পৌষ মাসের পিরিতি’ ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা ভালো না। তাই পপির মতে, এখন ছবির সংখ্যা বাড়লেও ভালো কাজ তেমন চোখে পড়ছে না। গল্পের ধাঁচে নতুনত্ব নেই। নতুন অনেক প্রযুক্তি এসেছে কিন্তু আমরা বদলাতে পারিনি। আমাদেরও বদলাতে হবে। গান, লোকেশন, হলের পরিবেশ এবং ছবির মানসম্পন্ন গল্প বেশি প্রয়োজন। তাই বর্তমানে ছবির সংখ্যা কমিয়ে ভালো ছবির কাজই সামনে করার ইচ্ছে আছে আমার।