অগ্নিনির্বাপণের কৌশলগত সব ধরনের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, বিমান ও হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটানোসহ নানা কায়দায় সর্বোচ্চ চেষ্টার পরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানল। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ার আশঙ্কা করা হয়। এর আগের দিন তাপমাত্রা পৌঁছে যায় ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা এ যাবৎকালে দেশটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।

ফ্রান্সে ১০০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গত সোমবার। ইউরোপের দক্ষিণ থেকে এখন তাপদাহ ছড়াচ্ছে উত্তরের দিকে। খবর গার্ডিয়ান, সিএনএন, রয়টার্সের।

খবরে বলা হয়, তাপদাহ ও দাবানলে জীবনযাত্রায় বিপর্যয় নেমে এসেছে স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়ামসহ বেশ কয়েকটি দেশের বিভিন্ন অংশে। পুড়ছে হাজার হাজার একর বনাঞ্চল। কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাপে হাঁসফাঁস করা যুক্তরাজ্যে নদী ও সমুদ্রে নেমে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। কয়েকটি এলাকার রেলসেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে অনলাইনে। সমস্যা হচ্ছে বিমান ওঠা-নামায়।

অন্যদিকে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা এক সপ্তাহ ধরে দুটি ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা এরই মধ্যে ২৭ হাজার একর বন ধ্বংস করেছে। প্রায় ৩২ হাজার পর্যটক ও বাসিন্দাকে নিরাপদে পাঠানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ডেভিড ব্রুনার বলেন, গত ৩০ বছরের অগ্নিনির্বাপণ কাজে তিনি দাবানলের এত ভয়াবহতা দেখেননি।

এদিকে নেদারল্যান্ডসে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে, এর পার্শ্ববর্তী দেশ বেলজিয়ামে রেকর্ড হতে পারে ৪০ ডিগ্রি বা এরও বেশি।

ইউরোপীয় কমিশনের গবেষকরা বলেছেন, ইইউ অঞ্চলের প্রায় অর্ধেকই এখন রয়েছে খরার ঝুঁকিতে। অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।