ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দিলেন পুতিন
মাতৃভূমি রাশিয়াকে রক্ষায় ‘আংশিক সেনা সমাবেশের’ নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই নির্দেশের ফলে রুশ সেনাবাহিনীর সংরক্ষিত সেনাদের যুদ্ধের পাঠানোর জন্য ডাকা হবে। যে পরিমাণ সংরক্ষিত সেনা আছে রাশিয়ার তার মাত্র এক শতাংশকে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সইগু। এই ঘোষণার ফলে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার থেকেই সৈন্য সমাবেশ শুরু হয়ে যাবে। ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা আর জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করার তিনি সৈন্য সমাবেশের নির্দেশ দিয়েছেন। যারা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেছেন, সেই সংরক্ষিত বাহিনীর সৈনিকদের সেনাবাহিনীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ার অনেক যুদ্ধাস্ত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার অস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্যও তিনি বাড়তি তহবিল বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি হুমকি দিয়ে পুতিন বলেন, আমাদের দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা যদি হুমকির মধ্যে পড়ে, রাশিয়া এবং এর জনগণকে রক্ষা করার জন্য আমরা সবরকমের ব্যবস্থা নেবো। এটা কোন ফাঁকা বুলি নয়। যারা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করতে চায়, তাদের জানা উচিত যে, পাল্টা বাতাস তাদের দিকেও যেতে পারে।
তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা দেশগুলো প্রমাণ করেছে যে, তারা চায় না রাশিয়া আর ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি থাকুক। ডনবাসে যারা লড়াই করছে, তাদেরও আইনি স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন।
ভ্লাদিমির পুতিন আরও বলেছেন, ইউক্রেনের যে এলাকাগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা নয়া নাৎসিদের রাজত্বে যেতে চায় না। সেখানে যে তথাকথিত গণভোটের আয়োজনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেই পুতিন বলেছেন, আমরা তাদের সহায়তায় রয়েছি। ইউক্রেনের যে এলাকাগুলো রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা এই সপ্তাহের মধ্যেই রাশিয়ায় যোগ দেয়া প্রশ্নে জরুরি গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং ফ্রান্স জানিয়েছে, তারা এরকম লজ্জাকর গণভোটের ফলাফল কখনোই মেনে নেবে না। নেটো সামরিক জোট জানিয়েছে, এ ধরনের পরিকল্পনা যুদ্ধকে আরও উস্কে দেবে।