ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাস
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে জয় তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো সাদা পোশাকে ক্রিকেটের জনককে পরাজিত করলো টাইগাররা।মিরাজ ও সাকিবের ঘূর্ণিজাদুতে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। ফলে ১০৮ রানের জয় পায় টাইগাররা।
আগের ইনিংসে ছয় উইকেট পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ আবারো যাদু দেখিয়েছেন, নিয়েছেন ছয় উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ডাকেট ও ব্যালেন্সকে ফেরানোর পর শূন্য রানে ফিরিয়েছেন মঈন আলিকেও। আউট করেছেন ফিফটি করা অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুককেও।
ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় তামিমের হাতে ক্যাচ তুলে আউট হন ব্যালেন্স। এর আগে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ডাকেটকে আউট করেছিলেন মিরাজ। দলীয় ১০০ রানের সময় ডাকেটকে বোল্ড করেন এই তরুণ স্পিনার। আউট হওয়ার আগে ৬৪ বলে ৫৬ রান করেছিলেন ডাকেট।
এর কিছুক্ষণই পর জো রুটকে ফেরান সাকিব আল হাসান। নিজের ব্যক্তিগত খাতায় এক রান যোগ করতেই সাকিবের এলবিডব্লিউ এর ফাঁদে পড়েন রুট।
বাংলাদেশের দেয়া ২৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাবলীলভাবে খেলতে থাকে ইংল্যান্ডের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। দলীয় ১০০ রানের আগে কোনো উইকেট ফেলতে পারেনি বাংলাদেশে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই জোড়া আঘাত আনেন সাকিব ও মিরাজ।
এর আগে তৃতীয়দিন লাঞ্চের কিছু পরেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২৬৮ রানে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে লাঞ্চ শুরু করা বাংলাদেশ ২৮ রান যোগ করে অল আউট হয়ে যায় ২৯৬ রানে।
দ্বিতীয় দিন ১৫২ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ দুর্দান্তভাবে তৃতীয় দিন শুরু করে। বাংলাদেশের পক্ষে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে তৃতীয় দিন রানের খাতা খোলেন ইমরুল কায়েস। পরবর্তীতে ইমরুল ও সাকিব জুটি দলের খাতায় যোগ করেন ৪৮ রান। দলীয় ২০০ রানে ইমরুল কায়েস বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৭৮ (১২০) রানে। এরপর সাকিব ও মুশফিক জুটি যোগ করেন আরো ৩৮ রান। ব্যক্তিগত ৪১ রানে আদিল রশিদের বলে বোল্ড আউট হন সাকিব। এরপরের ওভারেই মুশফিক আউট হলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে অনেকটা টি-২০ ফরম্যাটে ব্যাট করে বাংলাদেশকে দ্রুত ৩০ রান এনে দেন সাব্বির রহমান ও শুভাগত হোম জুটি।
সাব্বির লাঞ্চের আগে ১৫ (১৭) রানে ফিরে গেলে শুভাগত হোম ক্রিজে থেকে দ্রুত শট খেলে রান তোলার চেষ্টা করেন। ফল হিসেবে ২৮ বলে ২৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। কিন্তু অপরপ্রান্তে যাওয়া আসার মিছিলে ২৯৬ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।