আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে নিবন্ধিত দলগুলোকে ইসির চিঠি
আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে নিবন্ধিত দলগুলোকে ইসির চিঠি
নিবন্ধিত ৪০টি দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে দলগুলোর মহাসচিবদের চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের সহকারী সচিব রৌশন আরা বলেন, দলগুলোর ২০১৫ সালের আর্থিক লেনদেনের তথ্য একটি রেজিস্টার্ড চার্টার্ড অ্যাকাউন্টিং ফার্মকে দিয়ে নিরীক্ষা করিয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ইসিতে জমা দিতে হবে।
“আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে ৪০টি দলের মহাসচিব বরাবর ডাকযোগে ও বিশেষ বাহক মারফত তাগিদপত্র পাঠানো হয়েছে।”
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, নিবন্ধিত দলকে প্রতিবছরের বার্ষিক লেনদেনের প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে দিতে হয়। পর পর তিন বছর তা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলও হতে পারে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, পর পর দুই বছর লেনদেনের প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গণফ্রন্টকে নিবন্ধন বাঁচাতে এবার অবশ্যই প্রতিবেদন দিতে হবে। বিকল্প ধারা বাংলাদেশও গতবার নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দেয়নি।
প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর পর্যালোচনা করে কমিশন তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে বলে ইসির সহকারী সচিব রৌশন জানান।
তবে আদালতের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় এবারও জামায়াতে ইসলামীকে চিঠি দেয়নি ইসি।
নির্বাচনে অংশ নিতে ২০০৮ সালে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হওয়ার পর ৩৯টি দল তালিকাভুক্ত হয়। নিয়ম অনুযায়ী সংশোধিত গঠনতন্ত্র দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ২০০৯ সালে ফ্রিডম পার্টির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়।
দশম সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন তিনটি দল নিবন্ধিত হয়। নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় বাদ পড়ে জামায়াত। সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা এখন ৪০টি।