আসামে সংঘর্ষে ১৭ জন নিহত, পালিয়েছে হাজার হাজার মানুষ
আসাম: ভারতের গোলযোগপূর্ণ আসাম রাজ্যে দুইপক্ষের মধ্যে দাঙ্গায় ১৭ জন নিহত ও হাজার হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। বুধবার সরকারি সূত্র একথা জানায়।
পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, রাজ্যের প্রধান নগরী গৌহাটি থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরবর্তী কারবি আংলং জেলায় গত ডিসেম্বরে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় চারহাজার মানুষ সাময়িকভাবে নির্মিত শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, কারবি ও রেংমা নাগা উপজাতির মধ্যে জমি দখল নিয়ে সৃষ্ট দাঙ্গায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যার পর তাদের লাশ একটি জঙ্গলে ফেলে দেয়া হয়েছে।
রাজ্যের পানিসম্পদ মন্ত্রী রাজিব লোচন পেগু বলেন, “গত ১৫ দিন ধরে দুই উপজাতির মধ্যে চলমান সহিংস সংঘর্ষের ভয়ে অধিকাংশ লোক বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।”
জেলার নিরাপত্তা ও ত্রাণ কার্যক্রমের দায়িত্বে নিয়োজিত রাজিব লোচন পেগু বলেন, “সহিংসতা রোধে সেনা, পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।”
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, কারবি পিপলস লিবারেশন টাইগারস-এর বিচ্ছিন্নতাবাদীরা গত ডিসেম্বর মাসে একটি রেংমা নাগা গ্রামে হামলা চালিয়ে সাত গ্রামবাসীকে হত্যা করে।
এ হামলার জবাবে ন্যাশনাল সোশিয়ালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ডের যোদ্ধারা ১০ জন কারবি গ্রামবাসীকে হত্যা করে। দিমাপুরের কাছে একটি জঙ্গলে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
দিমাপুরের পুলিশ প্রধান ভি. জেড. আঙ্গামি বলেন, “এদের সকলকে প্রথমে অপহরণ করা হয় এবং এদের হাত ও চোখ বেঁধে খুব কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।”
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা এ দাস বলেন, “ওই এলাকায় হুমকি ও পাল্টা হুমকি চলছে। ফলে দুই সমপ্রদায়ের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে।”
মন্ত্রী বলেন, “একটি জমির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে উভয় সমপ্রদায়ের মধ্যে এ বিরোধ ও সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষ যাতে ব্যাপক আকার ধারণ করতে না পারে সেজন্য সকল পূর্ব-সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।”