আসাদের সতর্কতা: মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে
আসাদের সতর্কতা: মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সতর্ক করলেন। বললেন সিরিয়া, রাশিয়া, ইরান ও ইরাকের মধ্যে অবশ্যই জোট অটুট থাকতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে পুরো মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হয়ে যাবে। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে জোট হয়েছে ও সেই জোট সিরিয়ায় যে বিমান হামলা করছে তার তীব্র সমালোচনা করেন। বাশার আল আসাদ বলেন, এতে শুধু সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে। অনলাইন বিবিসি এ খবর দিয়ে বলেছে, সিরিয়ায় আরও বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তাদের দাবি, তারা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বাশার আল আসাদ বলেছেন- সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়া, রাশিয়া, ইরান ও ইরাক একজোট। এর মধ্য দিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের মতো নয়, বাস্তব সফলতা অর্জন করবেন। কিন্তু বাশার আল আসাদের আন্তর্জাতিক বিরোধিতাকারীরা বলেন, সিরিয়ার চার বছরের গৃহযুদ্ধে সমাধান হবে যদি প্রেসিডেন্ট বাশার পদত্যাগ করেন। তবে কিছু পশ্চিমা দেশ মনে করে, তাকে পদত্যাগ করলে এ সমস্যার সমাধান হবে না। তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে হবে। এর জবাবে আসাদ বলেন, সমস্যা সিরিয়ার আভ্যন্তরীণ। এর সমাধান বের করতে হলে রাজনৈতিক উপায় অবলম্বন করতে হবে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রোববার বলেছেন যে, ২৪ ঘন্টায় সিরিয়ার ওপর আইএসের ১০টি ঘাঁটিতে বোমা হামলা করেছে তাদের যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে রয়েছে একটি কমান্ড পোস্ট, একটি প্রশিক্ষণ ঘাঁটি। একটি অস্ত্রের মজুদাগার এবং একটি ওয়ার্কশপ। ওই ওয়ার্কশপে তৈরি হতো আত্মঘাতী বেল্টের মতো বিস্ফোরক ডিভাইস। বুধবারে শুরু হওয়া রাশিয়ার এই অভিযান আরও বিস্তৃত হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, আইএসের টার্গেটে বিমান হামলা করে আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছি। তাদের সরবরাহ লাইন ধ্বংস হয়ে গেছে। সন্ত্রাসী কর্মকা-ে যুক্ত হওয়ার মতো অবকাঠামো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সিরিয়ার মানবাধিকার বিষয়ক কর্মীরা বলছেন, সিরিয়ার কেন্দ্রীয় হোমস প্রদেশে বিমান হামলা করেছে রাশিয়া। এতে কমপক্ষে দুটি শিশু ও একজন মেষপালক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, রাশিয়ার বিমান হামলার সমালোচনা করায় বিরোধী দলীয় প্রথম সারির এক নেতাকে আটক করেছে সিরিয়া কর্তৃপক্ষ। তার নাম মুনজার খাদ্দাম। তিনি ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ডেমক্রেটিক চেঞ্জের মুখপাত্র। তাকে রাজধানী দামেস্কের কাছে একটি চেকপয়েন্টে আটক করা হয়। ওদিকে প্রেসিডেন্ট বাশারের সমর্থনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক ও বৃটেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান বলেছেন, এটা একটি মস্ত বড় ভুল। এ ঘটনায় মস্কো আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে মৌলবাদ ও সন্ত্রাস আরও বৃদ্ধি পাবে।