আসছে ইন্টারনেটের বিকল্প প্রযুক্তি
ওয়াশিংটন: ইন্টারনেটের বিকল্প প্রযুক্তি নিয়ে অনেক আগেই শুরু হয়েছে গবেষণা। বর্তমানে বিকল্প ইন্টারনেট ব্যবস্থা হিসেবে বিটক্লাউড নামের একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন আমেরিকান গবেষকরা।
ইন্টারনেটের সব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে বিকল্প ইন্টারনেট সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিটক্লাউড উদ্যেক্তাদের।
‘বিটকয়েন মাইনিং’ পদ্ধতির মতো বিটক্লাউডের সেবা দেয়া হবে দাবি করেছেন প্রকল্পটির উদ্যেক্তারা। স্বাধীন গ্রাহক থেকে গ্রাহকের মধ্যে অনলাইন লেনদেনের ডিজিটাল মাধ্যম এটি। ওপেন সোর্স ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া সাংকেতিক মুদ্রাটির নাম বিটকয়েন।
এই ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেনের জন্য কোনো ধরণের আর্থিক প্রতিষ্ঠান কিংবা নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না।
বিটক্লাউড পদ্ধতিতে অর্থের বিনিময়ে তথ্য সংরক্ষণ, রাইডিং ও ব্যান্ডউইথ দেয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে বিটক্লাউড তৈরির লক্ষ্যে ডেভেলোপার খুঁজছেন উদ্যোক্তারা। তাদের দাবি, নতুন ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ শুরু করবেন তারা। ২০০৮ সালে এই বিটকয়েন উদ্ভাবন করেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী সাতোশি নাকামোতো (ছদ্মনাম)।
বিটকয়েন ব্যবহার করে অনলাইনে খুব সহজে বেচাকেনা করা যায় বলে এ মুদ্রাব্যবস্থাকে ‘পিয়ার টু পিয়ার’ বা স্বাধীন গ্রাহক থেকে গ্রাহকের অনলাইন লেনদেন বলে অভিহিত করা হয়। বিট কয়েনের লেনদেনটি বিটকয়েন মাইনার নামে একটি সার্ভার কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে।
‘পিয়ার টু পিয়ার’ যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মধ্যে বিটকয়েন লেনদেন হলে এর কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহারকারীর লেজার ‘আপ টু ডেট’ করে দেয়। বিটকয়েনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার যেভাবে কাজ করে, বিটক্লাউডের ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাও সেভাবে নেটওয়ারর্কের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সূত্র: ওয়েবসাইট।